প্রকল্প সমূহ

বাংলাদেশের বন্দরে আগত দেশি ও বিদেশি জাহাজ সমূহের অনুকূলে বহির্গনের জন্য এনওসি নেওয়ার ক্ষেত্রে জাহাজের এবং সী-ফ্যারারদের সনদ যাচাই করতে হয়। সে জন্য এনওসি প্রত্যাশিদের বৈরী আবেহাওয়ার মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাহাজে গিয়ে মূলসনদপত্র এনে জমা দিতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে লাইনে দাড়িয়ে এনওসি’র বিভিন্ন ফি জমা করে রশিদ সংগ্রহ করতে হয়। এতে এনওসি প্রত্যাশিদের জীবনের ঝুঁকিসহ অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। ওয়েভার গ্রহণের ক্ষেত্রে জাহাজের বিভিন্ন সনদ সংগ্রহ করত: বাংলাদেশ শিপিং কপোরেশন এবং বাংলাদেশ ওশান গোয়িং শিপ ওনারস এসোসিয়েশন হতে অনাপত্তি সংগ্রহ করতে বিভিন্ন অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এতে ওয়েভার প্রত্যাশিদের অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যায় হয়।

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জাহাজের ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটির ডাটাবেইজ এবং নৌ-বাণিজ্য দপ্তরের ডাটাবেইজ এর মধ্যে লিংক এর মাধ্যমে জাহাজ সম্পকিত তথ্য যাচাই করা হবে। বিদেশি জাহাজের ক্ষেত্রে রিকগনাইজড ওয়েবসাইট হতে জাহাজের তথ্য যাচাই করা হবে। জাহাজের সী-ফ্যারারসদের সনদের কপি সংশ্লিষ্ট মাস্টার স্ক্যান করে মেইলে প্রেরন করবে। সংশ্লিষ্ট মালিক/এজেন্ট তা সত্যায়ন ও সনদসমূহ সঠিক মর্মে প্রত্যায়ন প্রদান করে এমএমডি-তে জমা করবে। গ্রাহক অন-লাইনে ফি জমা করে রশিদ সরবরাহ করবে। অত:পর অন-লাইনে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) জরী করা হবে। ওয়েভা প্রত্যাশীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট জাহাজের ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটির ডাটাবেইজ এর মধ্যে লিংক এর মাধ্যমে জাহাজ সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করা হবে। সফটওয়ারে আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে উক্ত প্রতিষ্ঠান/সংগঠন তাদের এনওসি প্রদান করবে। বিএসসি এবং BOGSOA এর এনওসি পাওয়া গেলে এমএমডি সংশ্লিষ্ট জাহাজের অনুকূলে ওয়েভার প্রদান করবে।