কোনো কিছু হারালে কিংবা জীবন ও সম্পদের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে নাগরিকরা থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এক্ষেত্রে পুলিশকে সাধারণভাবে তথ্য জানানোর মাধ্যম হচ্ছে সাধারণ ডায়েরি বা জিডি। একই সঙ্গে হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার পর সেটা মালিককে ফেরত দেওয়ার আইনি প্রক্রিয়াও পুলিশ দেখভাল করে। জিডি এবং হারানো ও পাওয়ার এই পরিসেবাকে অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। যেকোন স্থান থেকে জিডির জন্য অনলাইনে আবেদন করে চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে সহজেই।
হারানো বা খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) পরিষেবা নেওয়ার জন্য জনগণকে নানা রকম জটিলতায় ভূগতে হয়। যে থানা এলাকায় হারায়, আইন অনুযায়ী সে থানাতেই জিডি করতে হয়। অনেকক্ষেত্রে কোন জিনিস কোথায় হারিয়েছে মালিক সেটা নিশ্চিত নাও হতে পারেন। এ অবস্থায় পুলিশের কাছে গেলে তারা আইনি প্রক্রিয়া সেভাবে এগোতে পারেন না। তেমনিভাবে হারানো ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারে। হারানো-পাওয়ার জিডি পরিষেবা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে জনগণকে উন্নততর ই-সার্ভিস প্রদান করা সম্ভব হবে।
হারানো ও পাওয়ার জন্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) পরিষেবা অনলাইনে নিয়ে আসা হয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়। কোন কিছু হারিয়ে গেলে বা খুঁজে পেলে যে কেউ যেকোন স্থান থেকে হারানোর প্রয়োজনীয় আলামত ও বর্ণনা দিয়ে অনলাইনে জিডির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পর থানায় নিযুক্ত কর্মকর্তা তার ড্যাশবোর্ডে নতুন জিডির নোটিফিকেশন পাবেন। উক্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ইন্সপেক্টরকে ইনভেস্টিগেশনের জন্য নিযুক্ত করতে পারবেন। ইন্সপেক্টর যথাযথ ইনভেস্টিগেশন শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করবেন, যা জিডি আবেদনকারী তার ড্যাশবোর্ডে দেখতে পারবেন, এমনকি ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া, আবেদনকারী জিডির অগ্রগতি/অবস্থা তার ড্যাশবোর্ডে লগইন করে জানতে পারবেন। জিডিতে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট ইউনিক কোডের মাধ্যমে অনলাইনে জিডির বৈধতা যাচাই করা যাবে।