প্রকল্প সমূহ

ম্যাজিক রুম হিটার
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জাদুঘরের দর্শনীয় স্থানসমূহ ভ্রমন করা

বায়োমেট্রিক পোস্টাল ক্যাশকার্ডের (স্মার্ট কার্ডের)মাধ্যমে ডাক বিভাগের সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাব পরিচালনা।


চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

-ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি অন্যতম জনসম্পৃক্ত ও জনপ্রিয় এজেন্সী সার্ভিস যা অভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগের একটি প্রকল্প। বর্তমানে ৯৮৭৭ টি ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয় ব্যাংকের এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০১০-১১ অর্থ বছরের হিসাব অনুযায়ী সঞ্চয় ব্যাংকের হিসাব সংখ্যা প্রায় ৪৫ লক্ষ। কোন গ্রাহক তার সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে ১ মাস যেকোন পরিমান টাকা জমা রাখলেই বাৎসরিক ৭.৫% হারে একমাসের জন্যই মুনাফা প্রাপ্য হন। তবে বিভিন্ন সমস্যার কারনে জনগণ এ অসম্ভব লাভজনক সার্ভিসটির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। বর্তমানে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের অসুবিধা সমূহঃ ১. ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হিসাব সংরক্ষণ করা হয় বলে গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হয়। ২. ম্যানুয়াল পদ্ধতির কারনে জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে থাকে। ৩. অটোমেটেড না হওয়ার কারনে মুনাফা নির্ধারণে নানা জটিলতা হয় যেমন- সঠিক সময়ে মুনাফা না পাওয়া, কম বেশী মুনাফা পাওয়া্ প্রভৃতি। সঠিক সময়ে মুনাফা প্রাপ্ত না হওয়ায় গ্রাহক সেবা গ্রহনে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। ৪. গ্রাহককে আমানতকৃত অর্থ উত্তোলনের জন্য যে অফিসে হিসাবটি খুলেছেন সে অফিসেই উপস্থিত হতে হচ্ছে। ফলে অনেকসময় দুরত্বের কারনে গ্রাহক নির্দিষ্ট পোস্ট অফিসে আসার অাগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। ৫. মুনাফা হিসাব করা কষ্টসাধ্য বিধায় সরকার কর্তৃক আরোপিত বিনিয়োগের উপর কর কর্তনে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। ৬. ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাজ হয় বিধায় সময়ের অপচয় বেশী হয় ফলে জনগণ সহজে সাধারন হিসাবে সঞ্চয় করতে আগ্রহী হয়না। ৭. পাশ বহির মাধ্যমে লেনদেন হয় বিধায় পোস্ট অফিসের যেকোন শাখায় লেনদেন করা যায়না, এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যায়না বা বাজারে কেনাকাটা করা যায়না।

-বর্তমানে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ অর্থ লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে পোস্টাল ক্যাশকার্ড চালু করেছে। পিওএস মেশিনের মাধ্যমে পোস্টাল ক্যাশকার্ড নামক স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগনকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে একটি অত্যাধুনিক আর্থিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আঙ্গুলের ছাপ বা পারসোনাল আইডেনটিফিকেশন নাম্বার (পিআইএন) দ্বারা প্রতিটি লেনদেন সুরক্ষিত থাকে বিধায় পোস্টাল ক্যাশ ক্যাশকার্ড এর মাধ্যমে লেনদেন ১০০ ভাগ নিরাপদ। পোস্টাল ক্যাশকার্ড ব্যবহার করে বর্তমানে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবকে অতি সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করা যায়। এ পদ্ধতিতে গ্রাহক বায়োমেট্রিক পোস্টাল ক্যাশকার্ড ব্যবহার করে তার একাউন্টে টাকা জমা করবে এবং টাকা উত্তোলন করবে। জিপিআরএস মোবাইল সীম ব্যবহার করে পিওএস (পয়েন্ট অব সেলস) মেশিন সেন্ট্রাল সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকে বিধায় ব্যয়বহুল প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার ব্যতিরেকে একটি আধুনিক ব্যাংকিং সেবা জনগনের দোরগোড়ায়ে পৌছে দেয়া সম্ভব। সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারন হিসাব সংক্রান্ত সার্ভিস ডিজিটাল পদ্ধতিতে পোস্টাল ক্যাশকার্ডের মাধ্যমে প্রদান করা হলে জনগণ ও সরকার নিম্নবর্ণিত সুবিধা পাবে। ১. ঘন ঘন পোস্টঅফিসে আসতে হবেনা বিধায় গ্রাহকের সময় বাচবে ও ভোগান্তি কমবে। ২. গ্রাহক দেশের যেকোন পোস্ট অফিসে একাউন্ট খুলে দেশের সকল পোস্টঅফিসে,পোস্ট ই-সেন্টারে লেনদেন করতে পারবে। ৩. গ্রাহক তার আমানতের টাকা যেকোন এটিএম বুথ থেকে তুলতে পারবেন। ৪. সাধারণ হিসাব পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত কার্ড দিয়ে গ্রাহক যেকোন দোকানে কেনাকাটা করতে পারবেন। ৫. হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা প্রযুক্তি নির্ভর হবে এবং জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মত ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। ৬. মুনাফা নির্ধারণ পদ্ধতি সহজতর হবে এবং গ্রাহকের হিসাবে নিয়মিত ভাবে মুনাফার টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবে। ৭. বিনিয়োগের উপর কর কর্তন পদ্ধতি সহজ হবে। ৮. জনগনের সঞ্চয় প্রবনতা বাড়বে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবাহে এর অবদান বৃদ্ধি পাবে। ৯. ব্যাংক সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় আসবে। ১০. ডাক বিভাগ তথা সরকারের কর বহির্ভূত রাজস্ব বাড়বে।