মোবাইল ফোনে আমরা কত কাজই না করি! কথা বলা, এসএমএস আদান-প্রদানের গণ্ডি পেরিয়ে এটার ব্যবহার অসংখ্য দিকে। আবার এর মধ্যেই যদি বাংলাদেশের সব পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতালের মতো জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের এলাকা ভিত্তিক সব নম্বর এবং ঠিকানা সংরক্ষিত থাকে সেটার উপযোগিতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে নিশ্চয়। সেইসঙ্গে যদি নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার দিকনির্দেশ থাকে সেটা হবে আরও সুবিধাজনক। এমনই চিন্তা থেকে ‘জরুরি সেবার মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন’ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড।
তথ্য পাওয়া এবং তথ্য দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ না হওয়ায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় কোন সমস্যায় দ্রুত প্রতিকার করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে জরুরি নম্বরের অভাবে ডাকাতি, আগুন ও সড়ক দুর্ঘটনার মতো ঘটনা দ্রুত জানানো, থানা কিংবা ফায়ার স্টেশন খুঁজে পেতে অসুবিধা, আর ঠিকানা খুঁজে পেলেও যাওয়ার ক্ষেত্রে সময় ব্যয়, যানজটের খবরপ্রাপ্তি ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনার তথ্য দ্রুত দেওয়া সম্ভব হয় না। এর বিপরীতে বাংলাদেশের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের মতো প্রতিষ্ঠানে তথ্যের অপর্যাপ্ততা ও জনগণের সঙ্গে তাদের অপ্রত্যাশিত যোগাযোগহীনতা আছে। পাশাপাশি অপরাধের তথ্যের জন্য ভালোমানের ডাটাবেস না থাকা এবং হরতাল অবরোধের মতো সহিংস ঘটনায় দ্রুত তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হওয়ার ব্যাপারও থাকে।
এই প্রকল্পের আওতায় সমস্ত সার্ভিস অফিসের নম্বর ও ঠিকানা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে সন্নিবেশিত করা হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকার জন্য এই অ্যাপ্লিকেশনটি কাস্টোমাইজ করা হবে, যাতে এলাকাভিত্তিক থানা, ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল খুঁজে পেতে সুবিধা হয়। এতে সমস্ত অফিসের জিপিএস লোকেশন থাকবে, যাতে অ্যাপ্লিকেশনটি থেকেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার পথনির্দেশ পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের নির্দিষ্ট জরুরি গন্তব্যে পৌঁছাতে যেমন পারবে, তেমনি এটা সরকারি সেবা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার সুযোগ এনে দিবে। এসএমএস আদান-প্রদানেও যোগাযোগ রাখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। আবার জরুরি ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এটাকে ব্যবহার করতে পারবেন।