ফসল লাগানোর মৌসুমে কৃষি জমিতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা ও আবর্জনা জমা হয়। যাহা পরিষ্কার করে জমি ফসল উৎপাদন উপযোগী করতে হয়। কিন্তু কচুরিপনা ও আবর্জনাকে সবুজ সার বা জৈব সারে রূপান্তর করলে পরিষ্কারের শ্রম ও খরচ থেকে রক্ষা পাবেন কৃষক। নির্ভরতা কমবে রাসায়নিক সারের উপর। কচুরিপনা ও আবর্জনা থেকে জৈব সার প্রস্তুতকরণে স্বল্প মূল্যের জ্বালানী সাশ্রয়ী দেশীয় প্রযুক্তির মেশিন তৈরি করা হবে এই প্রকল্পে।
আমাদের দেশে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে কৃষি জমিতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা ও আবর্জনা হয়। যাহা পরিষ্কার করে জমি ফসল উৎপাদন উপযোগী করতে হয়। ফলে অতিরিক্ত শ্রমিক ও শ্রম ব্যয় হয়। আর্থিক খরচ বৃদ্ধি পায়। যা ফসল উৎপাদনে কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি করে।
স্বল্পমূল্যের জ্বালানী সাশ্রয়ী ও দেশীয় প্রযুক্তির কচুরিপানা আবর্জনা থেকে সবুজ সার বা জৈব সার প্রস্তুতকরণের মেশিন তৈরি করা হবে। মেশিনটি কৃষক নিজেই পরিচালনা করতে পারবে। মেশিনের ওজন হবে ৩৫০ কেজি, জ্বালানী লাগবে প্রতি ঘন্টায় ১ লিটার। দেশীয় কাঁচামালে তৈরি মেশিনটির আনুমানিক মূল্য হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। প্রতি ঘন্টায় ১২০০ কেজি সবুজ সার বা জৈব সার প্রক্রিয়াজাত করা যাবে। ২০০০ কেজি কচুরিপানা বা আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করা হলে সার হবে ১২০০ কেজি। ধরণ হবে গোবরের মতো, যাহা কৃষক জমিতে ছিটিয়ে দিবেন। রাসায়নিক সারের নির্ভরতা কমিয়ে জৈব সার সম্প্রসারণ হওয়ায় কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। তাই সফল ভাবে উৎপাদন ব্যয়ও কমে আসবে।