ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন সেবা কার্যক্রমও বিস্তৃত হচ্ছে। অধিকাংশ ব্যাংকই অনলাইন সেবার আওতায় এনেছে গ্রাহকদের। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে বর্তমানে দেশের ৪৫৪৭ টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার-ইউডিসির মাধ্যমে ১০২ টির অধিক সেবা দিচ্ছে সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এই সেবা প্রদানের কাজে ৪-৬টি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে হয় ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের। এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়ে একীভূত ব্যবস্থা নিয়ে আসা হবে এই প্রকল্পে।
বর্তমানে ৪৫৪৭ টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার-ইউডিসির মাধ্যমে ১০২ টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই সেবাগুলো প্রদান করার জন্য ইউডিসি উদ্যোক্তারা গড়ে ৪-৬ টি ব্যাংকের সাথে লেনদেন করছেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে সরকারি সার্ভিস ফি জমা নেওয়া এবং তা সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া সেন্টারগুলোর জন্য কষ্টসাধ্য, সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। ইউডিসি উদ্যোক্তারা কেবলমাত্র নিজ জেলার বাইরে সার্ভিস দিতে পারেন না। ইতোমধ্যে ৫টি বিভাগে ৩৮১ জন উদ্যোক্তাকে ই-কমার্স প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং এদের মধ্যে অনেকেই ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেছেন। পেমেন্ট সিস্টেমগুলোর ভেতরে আন্তঃসংযোগ না থাকায় পেমেন্ট পেতে দেরী হওয়া। এ কারণে ই-কমার্স খুব একটা প্রসার লাভ করতে পারছে না।
একটি বিশেষ পেমেন্ট সল্যুশন তৈরি করা, যা সকল ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিস এবং অন্যান্য পেমেন্ট সিস্টেমকে একত্রীকরণ করবে। প্রেরককে শুধুমাত্র প্রাপকের মোবাইল নাম্বার জানা থাকলেই হবে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার জানার প্রয়োজন নাই। ব্যবহারকারীরা তাদের মোবাইল নাম্বারের সাথে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করবে। সিস্টেমটি ভাইবার বা হোয়াটসআপ-এ মেসেজ পাঠানোর মতোই সহজ। পেমেন্ট সিস্টেমটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রেরকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাবে। সিকিউর সার্ভার ব্যাকগ্রাউন্ডের জটিল কাজগুলি হান্ডেল করবে।