জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য ছাদে বাগান স্থাপন নগর কৃষকের অপরিহার্য কাজে পরিণত হয়েছে । এ ব্যাপারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারও যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিয়েছেন । কিন্তু সরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের কৃষি সেবা সম্পর্কে নগর কৃষকের অবগত না থাকা, সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রচারের অভাব, নগর কৃষকের চাহিদামাফিক চারা/কলম সরবরাহে অপারগতা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, ছাদে বাগান স্থাপনে বিভিন্ন উপকরণ সমূহ প্রাপ্তিতে কৃষকের ভোগান্তি, অর্থ ও সময়ের অপচয় সর্বোপরি সেবা প্রদানে সরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সম্মিলিত উদ্যোগ না থাকা এবং সরকারী ও বেসরকারী নার্সারির যোগাযোগের অভাব ও দুর্বল মনিটরিং এর কারণে ছাদে বাগান স্থাপন এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি । তাছাড়া শুধু ছাদেই নয় ব্যালকনি বা বারান্দায় বাগান স্থাপন এমনকি Hydro phonic culture এর দিকেই আমরা যেতে পারি বা আমাদের যেতেই হচ্ছে
i) Website তৈরি করা যেখানে কৃষকদের প্রশ্ন উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে, প্রয়োজনে কিছু WebsiteএরসাথেLink করে দেওয়া যেমন- কৃষকের জানালা, Green Savers এর Plant Doctor অথবা Plant Doctor Clinic প্রভৃতির সাথে Link করে দেওয়া । ii) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মাধ্যমে তার অনুমতি সাপেক্ষে ছাদে বাগান স্থাপনের সকল উপকরণ সরকার নির্ধারিত সুলভমূল্যে সরাসরি বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ । এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে ও নগর কৃষকের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে । iii) ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট বেসরকারী উদ্যোগী সংগঠন (Green Savers, ITR)প্রভৃতির সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ করা । এক্ষেত্রে নগর কৃষক সুলভে এবং সহজে প্যাকেজ আকারে তাদের ছাদে বাগান স্থাপন এবং সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবেন । iv) নগরে কর্মরত কৃষি বিভাগের সব অফিস (মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস, উপজেলা কৃষি অফিস, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান) সম্মিলিতভাবে মাসে বা ২ মাসে একটি মিটিং করা যেতে পারে এবং সেই মিটিং এ নতুন নতুন জাত এবং তার প্রাপ্যতা সম্পর্কে আলাদা করে চাহিদা নিরূপণ করে প্রয়োজনে) প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিস্তার ঘটানো যেতে পারে । v) মনিটরিং শক্তিশালী করতে হবে । vi) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ।