মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম হলো বাসস্থান। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বল্প মূল্যে ও সহজ শর্তে সীমিত আয়ের লোকদের প্লট/ফ্ল্যাট/দোকান প্রভৃতি সুবিধা দিতে দায়বদ্ধ। সাধারণত পত্রিকায় প্লট/ফ্ল্যাট/দোকান বরাদ্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরই সেবা গ্রহিতাগণ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ শুরু করেন। সেবাদানকারী কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগের পূর্বেই সেবা গ্রহিতাগণ একশ্রেণীর দালাল ও প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়েন। এতে করে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ বা তারও বেশী দামে আবেদনপত্র ক্রয় সহ দালালদের নিকট হতে প্লট/ফ্ল্যাটের বরাদ্দ পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়ায় নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেন। ফলে তাদের প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় হয় এবং হয়রানি হয়ে থাকেন।
সেবা গ্রহিতাগণ অনলাইন সুবিধাভুক্ত ব্যাংকে গিয়ে আবেদনপত্রের মূল্য ও জামানতের অর্থ জমা দিয়ে/ পরিশোধ করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে e-Application System এ ঢুকে আবেদন করতে পারবেন। যদি কেউ নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ না করেন তবে ডাটাবেইজ সফটওয়্যার অর্থাৎ সিস্টেম তাকে আটকিয়ে দিবে এবং তিনি আবেদন জমা দিতে পারবেন না। আবেদন জমা হওয়ার পর অনলাইনে যাচাই বাছাই ও লটারী সম্পন্ন হবে। লটারির ফলাফল আবেদনকারীদের ই-মেইল/এস এম এস এর মাধ্যমে জানানো হবে। এতে লটারির বিজয়ীগণ স্বশরীরে এসে ফ্ল্যাটের বরাদ্দ নিতে পারবেন। একই সাথে যারা ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাবেন না তাদের জামানতের টাকা সরাসরি অনলাইন ব্যাংকে জমা হবে। ফলে সেবাগ্রহীতাদের টিসিভি কমবে। অর্থাৎ ভোগান্তি কম হবে।