ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষুদ্র, মাঝারি কিংবা বৃহৎ সব ধরনের ব্যবসায় কিংবা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে গেলে এই ছাড়পত্র অত্যাবশ্যক। কিন্তু সেটা পেতে জনগণকে ভোগান্তির শিকার হতে হয় নানাভাবে। অনলাইনেই যদি পাওয়া যায় সেই ছাড়পত্র, তবে সেটা কেমন হবে? সেটার পথ বের করতে সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় এটুআই ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের অনলাইন সেবার পরিধি বর্ধিতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বিশেষ ভূমিকা পালন করলেও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে জনগণ এ সেবা পেতে নানা অসুবিধার সম্মূখীন হন। পরিবেশ ছাড়পত্রের আবেদনের জন্য কয়েকবার পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্ধারিত অফিসে যেতে হয়। সারা দেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের ২৩টি অফিস থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই আবেদন জমা দেয়ার জন্য বহু দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ করতে হয়। এতে অর্থ ও অনেক সময়ের অপচয় হয়। এছাড়া, আবেদন জমা দেয়ার পরে সেটি সম্পর্কে কোনোরূপ তথ্য জানাও কষ্টসাধ্য। তদুপরি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসমূহ সহজে ছাড়পত্র যাচাই করতে না পারায় দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে ছাড়পত্র জালিয়াতের সুযোগ থাকে। কেবল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার জনগণকে এভাবে পিছিয়ে রেখেছে। একই সঙ্গে দ্রুত সেবা প্রদানের ব্যবস্থার অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত সেটার গ্রহীতারা।
ছাড়পত্র প্রণয়ন এবং বিতরণ প্রক্রিয়ার গতি আনার লক্ষ্যে নিয়ে কাজ ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের অনলাইন সেবার পরিধি বর্ধিতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের। যেখানে অনলাইন সেবার ফলে ওই প্রক্রিয়াটি হবে আরও গতিশীল এবং শ্রম সাশ্রয়ী। সর্বোপরি জটিল ও সময়সাপেক্ষ পদ্ধতির পরিবর্তে সহজ ও কার্যকরী সেবাপ্রদান সম্ভব হবে। একই সঙ্গে মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যাবে। এরফলে সেবাপ্রার্থীরা অফিস ভ্রমণ ব্যতীত সহজেই আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। অনলাইনভিত্তিক এই সিস্টেমের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রণয়ন, বিতরণ ও জমাকরণ এবং সেটা হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত আপডেট জানার পথে নানা জটিলতার সমাধান এখানে করা হয়েছে।