একটি আইওটি ভিত্তিক পাম্প কন্ট্রোলার যা কমপক্ষে ৩০% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে এবং ফেজ লস, পাম্প লক রোটার টার্নিং প্রভৃতির কারণে পাম্প পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। এর সঙ্গে পাম্পের রিমোট মনিটরিং ও এসএমএস এর মাধ্যমে জরুরি নোটিফিকেশন পাঠানোর ব্যবস্থা আছে।
<p><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;">সমস্যাঃ বাংলাদেশ সরকারের বিশেষায়িত সেচ প্রকল্প “বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” পরিচালিত ১৬,০০০ বৈদ্যুতিক পানির পাম্প-এর বিগত বছরের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এবং মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে আমরা নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি - ১. সরবরাহ লাইনে ভারসাম্যহীন ভোল্টেজ এবং লো-পাওয়ার ফ্যাক্টর। ভারসাম্যহীন ভোল্টেজের কারণে পাম্প সর্বদা রেটেড আরপিএম-এর চেয়ে বেশী ঘুরছে। ফলে পাম্পে ঘন্টা প্রতি বিদ্যুৎ ব্যবহার বেশী হচ্ছে এবং পাম্পের আয়ুস্কাল কমে যাচ্ছে। আরোপিত পাওয়ার ফ্যাক্টর মাশুল কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২. সফট স্টার্টিং ব্যবস্থা না থাকায় পাম্প চালুর সময় ৩ - ৭ গুণ বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে। ৩. ফেজ লস, পাম্প লক রোটার টার্নিং ইত্যাদি থেকে পাম্প সুরক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রায়শই পাম্প বিকল হয়ে পড়ছে বা পুড়ে যাচ্ছে। ৪. সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির কোন প্রায়োগিক ব্যবহার নেই। ৫. সময় ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় পিক সময়ে সেচ পাম্প বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ৬. প্রচলিত স্টার্টার সমূহের আয়ুস্কাল সাধারনতঃ ১ বছরের অধিক নয়</span><br></p><div><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;"><br></span></div>
<p><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;">সমাধানঃ একটি কৃষিপ্রধান দেশের নাগরিক হিসেবে আমি উপরোক্ত সমস্যাগুলোর সমাধানে তাগিদ অনুভব করি। বিদ্যুৎ-এর বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে, তথ্য-প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে এবং সেচ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো যোগ করে আমি এই যন্ত্রটির নকশা তৈরী করি। ১. এটি বিদ্যুৎ-এর ভারসাম্যহীন ভোল্টেজ, কারেন্ট, অনিয়ন্ত্রিত ফ্রিকোয়েন্সি এবং পাওয়ার ফ্যাক্টর স্থির রেখে পাম্পে চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এতে করে পাম্পে ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং পাম্পের জীবনকাল বৃদ্ধি পাবে। পাওয়ার ফ্যাক্টর সর্বদা ০.৯৫ এ স্থির রাখা যাবে। এতে করে বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ফ্যাক্টর মাশুল আরোপ করতে পারবেনা। ২. সফট স্টার্টিং ব্যবস্থা সংযুক্ত থাকায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ৩. এটির স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৬২টি ঝুঁকি থেকে পাম্পকে রক্ষা করবে । এর যেকোনটির পূর্বাভাস পাওয়ার সাথে সাথে পাম্প স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এটিতে DU/DT ফিল্টার বিদ্যমান থাকায় মোটরের ফিল্টার রক্ষা হবে। ৪. আইওটি প্রযুক্তি সম্বলিত থাকায় সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ ব্যবহারের তাৎক্ষণিক অবস্থা ও প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বিদ্যুৎ বিলের সঠিক হিসাব রাখা সহজ হবে। মাঠ পর্যায়ের কর্মীগণ বিভিন্ন সমস্যার তাৎক্ষণিক এসএমএস পাবে এবং দূর-নিয়ন্ত্রিত কৌশলের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। ৫.সময় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকায় সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সেচ পাম্পের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ৬. আশা করছি এটির আয়ুস্কাল হবে ১৫ বছর । আমি আশাবাদী, এই যন্ত্রটি বাংলাদেশের কৃষিবিপ্লবকে আরও বেগবান করবে ।</span><br></p><div><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;"><br></span></div>