পাহাড়ী অঞ্চল<br><br> Glockemann-320 পাম্প এর সাহায্যে ঝর্নার পানি ৬০০ ফুট উপরে উঠানো হবে। ঝর্ণার প্রবাহকে শক্তিতে রুপান্তর করে পাম্প চালানো হবে এবং পাহাড়ের চুড়ায় পানি উত্তোলন করা হবে।
<p><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;">পাহাড়ের উঁচুতে সেচের অভাবে চাষাবাদে বিঘ্নতা ও দৈনন্দিন কাজে পানির অভাব</span><br></p>
<p><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;">পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবন বা খাগরাছড়িতে পাহাড়ের উপর এক একরের মত সমান জমি আছে এবং কাছেই নিচে স্রোতস্বিণী ঝর্ণা আছে এরকম দুটি জায়গা খুঁজে বের করা হবে। একটি হবে অনেক উঁচুতে, ঝর্ণা থেকে ৬০০ ফুটের মত উঁচুতে আর অপরটি হবে নীচুতে, ঝর্ণা থেকে ২০০ ফুটের মধ্যে। এজন্য সেখানে কাজ করছে এমন এনজিও এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নেয়া হবে। জমি দুটির ব্যক্তিগত কোন মালিক থাকলে তাকে অথবা সরকারী জমি হলে সরকারের অনুমতি নিয়ে সেখানে চাষ করার জন্য স্থানীয় কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে। নিচে ঝর্ণায় দুটি হাইড্রলিক র্যাম প্রযুক্তির Glockemann-320 স্থাপন করে পাইপের মাধ্যমে সেচের জন্য পানি উপরের জমিতে তোলা হবে। জমির কাছে কয়েকটি বাড়ীতেও তাদের নিত্য প্রয়োজনের পানি সেখান থেকে সরবরাহ করা হবে। পাম্প দুটি স্থাপনের জন্য এর প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে প্রয়োজনে ডিজাইন সাহায্য চাওয়া যেতে পারে, তবে সশরীরে তাদেরকে এখানে আসতে হবে না। আমরা নিজেরাই তা স্থাপন করতে পারব আশা করি। যে বিষয়গুলো এখানে পরীক্ষা করা হয়ে তার একটি হল প্রতি দিন কতখানি পানি দুটি জমিতে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ জন্য পাইপের শেষ মাথায় ফ্লো-মিটার স্থাপন করা হবে। দ্বিতীয়তঃ পাম্পের রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা হবে, কোন যন্ত্রাংশ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় কিনা সে বিষয়টি সামনে রেখে। তৃতীয়তঃ জমিতে চাষ করা স্থানীয় কৃষকদের ও এ পানি ব্যবহারকারী পরিবারগুলোর কাছ থেকে এ পাম্পের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সফল হলে এ পাম্পটি দেশে তৈরী করে খরচ কমানোর চেষ্টা করা হবে।</span><br></p>