যে কোনো তথ্যের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসে যাওয়ার সময় ও সুযোগ একজন কৃষকের থাকে না। এ কারণে কৃষি তথ্য সেবার জন্য তথ্যগুলোকে এক জায়গায় করে সেগুলো হালনাগাদকরণ, তথ্যের যাছাই ও সেগুলোর ব্যবহার করে কৃষকদের তথ্যসেবা দেওয়া দরকার। সে লক্ষ্যে কাজ ‘কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা’ প্রকল্পের।
কৃষকের সময় ও সুযোগের অভাবে ঠিক সময়ে কাঙ্ক্ষিত সেবার প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা তাদের মধ্যে আছে। আবার একই স্থানে সব সেবা না থাকায় তারা সেটা থেকে বঞ্চিত হন। জরুরি তথ্যের জন্য তাদেরকে অনেকবার উপজেলা কৃষি অফিসে যাওয়া লাগে, যেটা অনেক সময়সাপেক্ষ। অন্যদিকে, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো একটি সেবা নিতে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। ৫০ শতাংশের বেশি উপজেলা ইন্টারনেট সেবার বাইরে থাকায় সেখান থেকে তথ্য নেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই।
হালনাগাদ তথ্য ও গবেষণাভিত্তিক অর্থনৈতিক প্রযুক্তি কৃষকের দ্বারে দ্বারে বিনা পয়সায় কিংবা অল্প খরচে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে ‘কৃষকের ডিজিটাল জানালা’ উদ্যোগ। সেটার জন্য তথ্য সংরক্ষণ, হালনাগাদকরণ এবং সেটা বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এতে। এর মাধ্যমে উন্নত ও টেকসই শস্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করে কৃষকরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষক নিজের ও পরিবারের, সর্বোপরি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে পারবেন।