সরকার প্রত্যেকটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এখনো সারা দেশে প্রায় ৯৩০০ টি স্কুল বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকেনা। এছাড়া বিদ্যুতবিহীন এলাকায় মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ইকো ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নামক প্রতিষ্ঠান এটুআই প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড এর মাধ্যমে ‘স্বল্প মূল্য ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ’ নামে একটি মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের জন্য একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করে। উদ্যোগটি বর্তমানে বান্দরবনের থানচি, কিশোরগঞ্জের ইটনা, খুলনার বটিয়াঘাটা ও পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া পাইলট আকারে চলছে। ক্রমান্বয়ে সারাদেশে এটা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
সরকার প্রত্যেকটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এখনো সারা দেশে প্রায় ৯৩০০ টি স্কুল বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকেনা। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ জন্য বিদ্যুত সাশ্রয়ী এবং গ্রামের স্কুলগুলোতে সহজে দেওয়ার জন্য একটি ব্যবস্থাপনা জরুরি।
এই প্রকল্পে উদ্ভাবিত পদ্ধতি সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি অত্যন্ত সাশ্রয়ী এবং সোলার প্যানেল দিয়েও পরিচালনা করা যায়, যা বিদ্যুৎ বিহীন অঞ্চলে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপনের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সিস্টেমটি দুটি ১২ ভোল্ট ব্যাটারি দ্বারা ৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সমর্থন করতে পারে এবং একবার চার্জে দৈনিক ৩ ঘণ্টা করে ৭ দিন পর্যন্ত মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষে ক্লাস নেয়া সম্ভব। সোলার দিয়ে পুরো সিস্টেমটি চালানোর জন্য সিঙ্গেল বোর্ড কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়েছে যা স্বল্প বিদ্যুতেই পরিচালনা করা যায়। শ্রেণিকক্ষের সকল শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষকদের প্রদর্শিত কন্টেন্ট স্পষ্ট ভাবে দেখতে পায় তাই ৪০/ ৪২ ইঞ্চি এলইডি মনিটর ব্যবহার করা হয়েছে। অধিক পরিমাণে তৈরি করা হলে মাত্র ৭০,০০০ টাকায় মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন সম্ভব হবে। সকল শিক্ষার্থীর সমান সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ বিহীন স্কুলে এ ব্যবস্থা চালু করা যাবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকেনা সেখানে এ ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা সম্ভব। বেসরকারি স্কুলসমূহ যাদের মূলধন কম তারাও এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবে।