প্রকল্প সমূহ

কমদামী ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের GIS ভিত্তিক অনলাইন ডাটাবেজ

ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ তৈরি


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুসারে মোট জনগোষ্ঠীর ১৫ শতাংশ মানুষ নানাভাবে প্রতিবন্ধী, বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ দৃষ্টির সমস্যায় রয়েছেন। এ টু আই-এর সহায়তায় ‘ইপসা’ ইতোমধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ তৈরি করেছে। এর অনেকটা ধারাবাহিকতায় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপকরণ তৈরির এই প্রকল্প।

চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা এখন স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও তাদের উপযোগী পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ নাই। এছাড়া বাংলাদেশে ৪৮শতাংশ মানুষ যারা পড়তে পারেন না, তারাও ছাপার অক্ষর পড়তে অপারগ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বব্যাপী এই সমস্ত নিরক্ষরদের এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ডিজিটালি তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ ও শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। যেটা তাদেরও জন্য সাম্যের একটা পরিস্থিতি তৈরি করছে দৃষ্টিহীন ও কম দৃষ্টিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি খাতের কিছু স্কুলে বিশেষ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫টি বিশেষায়িত স্কুল এবং এর সঙ্গে অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের সমন্বয় করে এমন ৬৪টি স্কুলে রয়েছে। প্রাথমিকে সরকার পূর্ণ সিলেবাসের ব্রেইল বই প্রদান করছে কিন্তু শিক্ষার্থীরা যখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে যায় তখন সেটা খুব সীমিত। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যা একেবারে নেই বললেই চলে।

এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের এই প্রকল্পে ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ই-বুকসহ ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত করা হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও ছাপার অক্ষর পড়তে অক্ষমদের সমন্বিত একটি পদক্ষেপ এতে নেওয়া হবে। ছবিসহ ইউনিকোডে টেক্সটে এটা এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে সহজে এটাকে ডেইজি (Digital accessible information systems-DAISY) মানে রূপান্তর করা যায়। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম করলে সেগুলো সহজে দেখানো হবে। এটা একবারের বিনিয়োগ হওয়ায় খরচ কমাবে।