বিজেএমসি প্রতিবছর পাট মৌসুমে যে পাট কিনে তাতে অনেক সময় কৃষক ন্যায্যমূল্য পান না। অন্যদিকে, পাট ক্রয়-বিক্রয়ে কৃষক ও পাট কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থাও অনেক সময় সহায়ক নয়। মোবাইল অ্যাপস ও এসএমএসের মাধ্যমে পাট ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আসার উদ্যোগ এই প্রকল্প।
বিজেএমসি প্রতিবছর পাট মৌসুমে প্রায় ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন পাট ক্রয় করে থাকে। এই পাট ক্রয় কৃষকদের উৎপাদিত পাটের ন্যায্য মূল্য পেতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কারণে কৃষকের লোকসান হয়। অনেক সময় ন্যার্য দাম পান না তারা। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিক্রির জন্য পাট নিয়ে যাওয়ার পরিশ্রম ও সময় ব্যয়তো আছেই।
একটি উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল অ্যাপস এবং এসএমএসের মাধ্যমে পাট ক্রয়-বিক্রয়ের নানা জটিলতা সমাধান করা যেতে পারে। পাটের উপর মোবাইল অ্যাপস তৈরী করে তা বিনামূল্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী পাট বিক্রেতাকে প্রদান করতে হবে। যাদের স্মার্টফোন নেই তারা নির্দিষ্ট নম্বরের এসএমএস পদ্ধতি ব্যবহার করবে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা অপশন পদ্ধতি ব্যবহার করবে। আর অন্যরা তিনটি বিষয় উল্লেখপূর্বক এসএমএস প্রেরন করবে। প্রথমেই থাকবে পাটের ধরনের নাম এরপর স্পেস দিয়ে পরিমান এবং শেষে থাকবে স্থানের নাম। এই এসএমএস-টি বিজেএমসি প্রধান কার্যালয়ের নির্ধারিত নম্বরে পাঠাবে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সরাসরি সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করবে। এসএমএস-টি দেখে পাট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যোগাযোগ করে সমন্বয় দাম নির্ধারণ করে নিকটস্থ পাটক্রয় কেন্দ্রের মোবাইল নম্বরসহ ঠিকানা ও কোড নম্বর দিয়ে পাট বিক্রেতার নিকট প্রেরণ করবে। একই সাথে আরেকটি এসএমএস বা তথ্য পাটক্রয় কেন্দ্রের ইনচার্জের নিকট প্রেরন করবে। ইনচার্জ/পাটক্রয় কর্মকর্তা পাট যাচাই করে গ্রেড অনুযায়ী চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারন করে ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। এখানে মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং অথবা অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়া পাট উৎপাদিত এলাকার এজেন্সির মাধ্যমে পাট চাষীদের নিবন্ধন করে সার্ভারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। ফলে যেকোন তথ্য যেকোন সময় প্রেরন করা, তাদেরকে অনুপ্রেরণা দেয়া, পাটের পরিমাণ সমস্যা ইত্যাদি জানা সম্ভব হবে।