দেশের ৬৪টি জেলা প্রশাসনে শিশু খাদ্য, হার্ডওয়্যার, স্বর্ণ কারিগর ইত্যাদির ক্ষেত্রে ডিলিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। জেলা প্রশাসনের ‘ব্যবসা ও বাণিজ্য শাখা’ যেটার দেখভাল করে থাকে। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের এ লাইসেন্সের ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় করার এ টু আই-এর প্রকল্প ‘জেলা প্রশাসনের ডিলিং লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণ’। প্রথমে এর কার্যক্রম রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়কে কেন্দ্র করে এগোলেও একই ব্যবস্থাপনা সকল জেলায় কার্যকর করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসনের ‘ব্যবসা ও বাণিজ্য’ শাখার ডিলিং লাইসেন্সের প্রক্রিয়াকরণে আগে কমপক্ষে ৪০-৫০ সময় লাগত। কখনও কখনও সেটা ছিল অনিশ্চিত। দিনের পর দিন ধরণা দিয়েও কাজ হতো না বলে ভোগান্তির শিকার হন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
ডিলিং লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা সহজ করার জন্য একটা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেখানে তিন ধাপে লাইসেন্স হাতে পেয়ে যাবেন ব্যবসায়ীরা। প্রথম পর্যায়ে ওয়েবসাইটে লগইন, মোবাইল নাম্বার ও জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দিয়ে এ্যাকাউন্ট শুরু; আবেদন শুরু ও কোর্ট ফি-সহ প্রাথমিক ফি গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোডের কাজ হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে এসে আবেদনের সাথে সাথেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর ফোনে নোটিশ বার্তা চলে যাবে। এরপর আবেদনপত্র ও দাখিলকৃত কাগজপত্র ডাউনলোড ও প্রিন্ট, কোর্ট ফি স্টাম্প লাগানো এবং তদন্তের জন্য দাখিল করবেন তিনি। সর্বশেষ ধাপে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে রিপোর্ট দাখিল; অযোগ্য হলে আবেদন বাতিল ও ফোনে এসএমএস প্রদান; যোগ্য হলে এস এম এস প্রদান করে নির্ধারিত লাইসেন্স ফি প্রাদান এবং ফি প্রাপ্তির পর লাইসেন্স প্রদান।