সাধারণ মানুষের জন্য ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন সংক্রান্ত জরিমানা প্রদান প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা দূর করে সে প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য এ প্রকল্প। যাতে একটি ডিভাইস ব্যবহার করে ট্রাফিক পুলিশ সরাসরি বিআরটিএ ডাটাবেস থেকে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য যাচাই করবে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ জরিমানার টাকা জমা করতে পারবেন অনলাইনে বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। যাতে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে ট্রাফিক পুলিশের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন হলে সেক্ষেত্রে মামলা কিংবা জরিমানার কাজ করে ট্রাফিক পুলিশ। ম্যানুয়ালি করার কারণে সেক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যয়ের প্রক্রিয়া এবং জটিলতা ছিল। এ কারণে মামলা কিংবা জরিমানার বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা ট্রাফিক পুলিশ এবং যানবাহন চালক-মালিকদের মধ্যে ছিল।
এই প্রকল্পে মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশ সরাসরি বিআরটিএ ডাটাবেস থেকে যানবাহন রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করতে পারবে। পরে মানুষ অনলাইন ব্যাংকিং কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ করতে পারবে। বিআরটিএ ডাটাবেস তৈরির জন্য সর্বোচ্চ গতির, কমপক্ষে প্রতি সেকেন্ডে ৮ মেগাবাইট, সংযোগ প্রয়োজন হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে জরিমানা আদায় ব্যবস্থা অনলাইনে নিয়ে আসতে প্রয়োজন উচ্চ কনফিগারেশনের সার্ভার, ট্রাফিক পয়েন্ট অ্যাক্সেস ডিভাইস, অনলাইন/অফলাইন ইউপিএস, প্রিন্টার, বিটিসিএল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কিংবা টেলিটক/গ্রামীণ ফোনের থ্রি-জি মডেম, থ্রি-জি সিমকার্ড, স্টেশনারি রোল পেপারসহ আরও কিছু হার্ডওয়ার পণ্য।