কমপক্ষে ৭০০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ব্যবস্থা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে করতে হয়। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় হয়। এই প্রকল্পে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতিতে অটোমেশনের মাধ্যমে সেটা থেকে পরিত্রাণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৭০০২ প্রতিষ্ঠানে ২ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিয়ে থাকে। ওএমআর ফর্মে নেওয়া শিক্ষকদের নেওয়া এই পরীক্ষার খাতা পড়া ও টালি করে সেটা শিক্ষাবোর্ডটির প্রধান কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হয়। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি না থাকায় এক্ষেত্রে অনেক ও শ্রম ব্যয় হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দিনদিন বাড়ার কারণে এবং সনাতন পদ্ধতি হওয়ায় এ ব্যবস্থাপনা টেকসই হিসেবে বিবেচিত হয় না। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এক বৈঠকে পরীক্ষার নেওয়ার পদ্ধতিকে স্বয়ংক্রিয় করার বিষয়কে অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এই প্রকল্পে আমরা এ পরীক্ষার বর্তমান পদ্ধতি পরিবর্তন করে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় পরিবর্তন করার প্রস্তাব করেছি। যাতে ব্যবহারিক ও লিখিত পরীক্ষাকে দুই ধাপে অনলাইনে বা ট্যাবলেটে মূল্যায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্যাবলেট ভিত্তিক অ্যাপ দিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার এবং কম্পিউটার দিয়ে লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে। যাতে কারিগরির দ্বৈবচয়িত এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নসেট সমাধান করা হবে। ব্যবহারিক ও লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়নকে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী আইডির মাধ্যমে একীভূত করা হবে এবং পরীক্ষার নম্বর তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। পরবর্তীতে সেখান থেকে ই-সার্টিফিকেট ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাবে। ডাটা জমানোর পদ্ধতির মাধ্যমে সার্ভারে তাৎক্ষণিক তথ্য সংযোজন এবং দূরবর্তী জায়গায়ও কারিগরি বোর্ডের প্রধান কার্যালয় থেকে মনিটরিং করা যাবে। এই সমাধান কারিগরি বোর্ডের অটোমেশনের প্রাধান্যকে কাজে রূপ দেবে এবং দূরবর্তী এলাকার স্কুলগুলোতে প্রযুক্তিগত সুবিধার আওতায় আনবে।