বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যবহারিক জ্যোর্তিবিজ্ঞান সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত। প্রচুর শিক্ষার্থী আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও জ্যোর্তিবিজ্ঞানের উপর আলাদা কোনো বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নেই। পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিতের একটি সেমিস্টারে জ্যোর্তিবিজ্ঞান নিয়ে কিছু পড়ানো হয়; কিন্তু দেশে কোনো জ্যোর্তিবিজ্ঞান মানমিন্দর না থাকার কারণে কোনো ব্যবহারিক পর্যবেক্ষনই সম্ভব হয় না। এ প্রকল্পের আওতায় ‘দূর নিয়ন্ত্রিত অনলাইন অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল মানমন্দির’ তৈরির মাধ্যমৈ সরাসির ও রিমোর্টলি আকাশ পর্যবেক্ষনের তথ্য সরবরাহ করবে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় থেকে অনলাইন কম্পিউটার এমনকি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে সরাসরি মহাকাশ পর্যবেক্ষণ ও ছবি ধারণ, সংরক্ষণ করতে পারবে।
‘জ্যোর্তিবিজ্ঞান’ বিজ্ঞানের অন্যতম পুরাতন একটি শাখা। বর্তমান বিশ্বে মহাকাশ গবেষণা একটি উন্নত বিজ্ঞানমনষ্ক সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থার মাপকাঠি। জ্যোর্তিবিজ্ঞান গবেষণায় শিক্ষার্থীর নিকট সমগ্র বিশ্বই ল্যাবেরটরি, যেখানে দুরবিন, টেলিস্কোপ ও মানমিন্দর হল মূল যন্ত্র। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যবহারিক জ্যোর্তিবিজ্ঞান সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত। প্রচুর শিক্ষার্থী আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও জ্যোর্তিবিজ্ঞানের উপর আলাদা কোনো বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নেই। পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিতের একটি সেমিস্টারে জ্যোর্তিবিজ্ঞান নিয়ে কিছু পড়ানো হয়; কিন্তু দেশে কোনো জ্যোর্তিবিজ্ঞান মানমিন্দর না থাকার কারণে কোনো ব্যবহারিক পর্যবেক্ষনই সম্ভব হয় না। ভরসা মুখস্থ বিদ্যায়। মহাকাশের গ্রহ কী, নক্ষত্র কী, গ্যালাক্সী কী, দেখতে কেমন, এসব বইয়ের পাতা আর টেলিভিশনের পর্দায় আরব্য রজনীর মত ধরা দেয় দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের নিকট।
দেশে জ্যোর্তবিজ্ঞান চর্চা উৎসাহিত ও শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্তকরণে সরকারী ও বেসরকারী গঠনমূলক কোন পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। ‘রিমোর্টলি অপারেটেড অনলাইন জ্যোর্তিবিজ্ঞান মানমন্দির’ প্রকল্পটি একই সাথে সরাসির ও রিমোর্টলি আকাশ পর্যবেক্ষনের তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের প্রকল্প আপামর জনগণ ও শিক্ষার্থীদের নিকট মহাকাশ পর্যবেক্ষেণ এ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। প্রকল্পটি আকাশ পর্যবেক্ষেণর তথ্য একই সাথে সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রেরণ করতে সক্ষম। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় থেকে অনলাইন কম্পিউটার এমনকি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে সরাসরি মহাকাশ পর্যবেক্ষণ ও ছবি ধারণ, সংরক্ষণ করতে পারবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ গবেষণার জন্য নামমাত্র মূল্যে মানমন্দিরটি ব্যবহার করতে পারবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বছরে নূন্যতম ৫০ হাজারেরও বেশি মহাকাশ পর্যবেক্ষণ; ও দু’কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী, শৌখিন মহাকাশ পর্যবেক্ষক ও আপামর জনগণ জ্যোর্তিবিজ্ঞান তথা মহাকাশ পর্যবেক্ষণে লাভবান হবেন। দেশব্যাপী বিজ্ঞান মনষ্কতা ছড়িয়ে দিতে এ প্রকল্পটি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জ্যোর্তিবিজ্ঞান অঙ্গনে বাংলাদেশের মানমন্দিরের স্বীকৃতি অর্জন।