বাংলাদেশের অধিকাংশ স্কুলের পাঠদান প্রক্রিয়া আমূল বদলে ফেলতে এই প্রকল্প। যাতে কারিকুলামের উপর ভিত্তি করে তৈরি শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্লাসের আগেই সরবরাহ করা হবে এবং প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে আসবে তারা। যা পড়ে আসল সেটার অনুসন্ধিৎসু ও সৃজনশীল চিন্তার উপর ভিত্তি করে একটি উদ্দীপনামূলক মূল্যায়নের পর ক্লাসের অন্য কার্যক্রম শুরু হবে।
কৌতুহল উদ্দীপনার পরিবর্তে বর্তমানে আমাদের ক্লাস রুমের পাঠদান মুখস্থ নির্ভর। আবার শিক্ষকদেরকে ক্লাসরুমে বিভিন্ন কনটেন্টে প্রদানে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই কনটেন্টগুলোর আলোচনা, প্রশ্নোত্তর পর্ব, প্রেজেন্টেশন ও বিতর্কে তিনি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করানোর প্রয়োজনীয় সময়টুকু পান না। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের একুশের শতকের চাহিদা অনুযায়ী উন্নত দক্ষতা বৃদ্ধি ও তাদের দক্ষতা মূল্যায়ন ঠিকমতো করছে না।
এই প্রকল্পের আওতায় বাছাইকৃত এলাকার পাঁচটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে ফ্লিপড ক্লাসরুম অনুশীলন করাবে এবং বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় এটা সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। এর অংশ হিসাবে তৈরি করা হবে কিছু শিক্ষা উপকরণ। উপকরণগুলো শিক্ষার্থীদের ক্লাসের আগেই দেওয়া হবে, যাতে তারা ওই বিষয়ে ধারণা নিয়ে ক্লাসে আসতে পারে। তারা বাড়িতে ওই কনটেন্টগুলো পড়বে এবং শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত করবে। ক্লাসের দিন শিক্ষার্থীদের আগে সরবরাহকৃত উপকরণের ভিত্তিতে উদ্দীপনা তৈরিকারী কাজ দেওয়া হবে। এই কাজে জোর দেওয়া হবে অনুসন্ধিৎসু চিন্তা, সৃজনশীল চিন্তা, যোগাযোগ ও সমন্বয়ের ধারণার ওপর। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুসন্ধিৎসু পাঠদান প্রক্রিয়ায় এসে ২১ শতকের মতো উন্নত শিক্ষার্থী হওয়ার অনুকূল পরিবেশ পাবে। অন্যদিকে শিক্ষকও ক্লাসরুমে পাঠদান কাজের পাশাপাশি মূল্যায়নে সময় পাবেন।