বাংলাদেশের কমপক্ষে ৩০ হাজার সমবায়ী বিভিন্ন ধরনের কৃষি ও অকৃষি জাত পণ্য উৎপাদন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত। একটি প্রযুক্তি নির্ভর প্রাতিষ্ঠানিক বাজার কাঠামো না থাকায় কারণে তাদেরকে স্থানীয় বাজার চাহিদার উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। স্থানীয় বাজারে নানাধরনের সিন্ডিকেটের উপস্থিতি থাকায় উৎপাদনকারীগণ ম্যানুপুলেশনের শিকার হন। পণ্যের প্রকৃত মূল্য থেকে সমবায়ীদের বঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে একটি বিশেষ অনলাইন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে এই প্রকল্পে।
বাংলাদেশে প্রায় ১৫০০টি নিবন্ধিত সমবায় সমিতির কমপক্ষে ৩০০০০ সমবায়ী বিভিন্ন ধরনের কৃষি ও অকৃষি জাত পণ্য উৎপাদন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত। একটি প্রযুক্তি নির্ভর প্রাতিষ্ঠানিক বাজার কাঠামো না থাকায় এ সকল সমবায়ী উৎপাদনকারীদেরকে স্থানীয় বাজার চাহিদার উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। স্থানীয় বাজারে নানাধরনের সিন্ডিকেটের উপস্থিতি থাকায় উৎপাদনকারীগণ ম্যানুপুলেশন এর শিকার হয়। ফলে পণ্যের প্রকৃত মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়।
এই প্রকল্পের আওতায় পাইলট আকারে খুলনা, টঙ্গাইল, নওগাঁ ও নরসিংদী জেলার ২,০০০ উৎপাদনকারী, উপজেলা সমবায়ের দপ্তর, জেলা সমবায় দপ্তর এবং ঢাকায় অবস্থিত সমবায় বাজার কনসোরর্টিায়ামের সমন্বয়ে একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর প্রাতিষ্ঠানিক বাজার নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা। সমবায় বাজার কনসোর্টিায়ামের ওয়েবসাইটকে আরো সমৃদ্ধকরণ, ডাটাবেস তৈরী এবং ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক পণ্যের ছবি ও তথ্য আপলোড করার সুবিধা সম্বলিত সফটওয়্যার তৈরী করা ও এতদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা সেবা ক্রয় করা। এর মধ্যে থাকবে, অনলাইনে পণ্য ক্রয় বিক্রয় সেবা চালুকরণ; মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সমবায় বাজার কনসোর্টিয়াম ও উৎপাদনকারীদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সম্পন্নকরণ এবং সমবায় অধিদপ্তর, সমবায় বাজার কনসোর্টিয়াম ও উৎপাদনকারীদের সমন্বয়ে এমনভাবে মুল্য নির্ধারণ ও বাজার কনসোর্টিয়ামের সার্ভিস চার্য নির্ধারণ যাতে ভোক্তা ও উৎপাদনকারী উভয়েই WIN WIN অবস্থায় থাকে। জেলা/উপজেলা পর্যায়ে মান নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পণ্যের মান পরীক্ষাকরণের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য পণ্য উৎপাদন নিশ্চিতকরণে দক্ষ ও উপযুক্ত প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ প্রদান। ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকায় বিশেষ ধরনের খোলা পিকআপের মাধ্যমে মোবাইল সমবায় পণ্য শপ পরিচালনা করা হবে। একইসঙ্গে উৎপাদিত পণ্য জেলা সমবায় অফিস হতে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কনসোর্টিয়ামে প্রেরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।