বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৯৬৪ হেক্টর। এর মধ্যে ৭৪ লাখ হেক্টরের কিছু বেশি। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো জমি বর্ষাকালে জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ১২ মাস আবাদযোগ্য থাকে না। সেই অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা নেয়া হয়েছে এ প্রকল্পে। যাতে জমির এক প্রান্তে জলাধার তৈরি করে বারোমাস চাষাবাদের উপযোগী করা হবে সেখান থেকে পানি নিয়ে। আর সেচের ব্যবস্থা সোলার সিস্টেমে করায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশের বৃষ্টিপাত ধারাবাহিকতা হারিয়ে ঢল বা অতিবর্ষণের আকার ধারণ অনেক সময়। প্রচুর পরিমাণ জমি বর্ষাকালে ১ থেকে ২ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকার কারণে বারমাস আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। ফলে বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। জলমগ্ন জমিতে চাষাবাদও করা যায় না।
নিচু জমির পাশে নির্দিষ্ট অনুপাতে এবং নির্দিষ্ট ডিজাইনে জলাধার তৈরী করে এবং পানির অপচয় রোধের মাধ্যমে নিচু জমিকে উঁচু করে সারা বছর আবাদের আওতায় আনা। বর্ষাকালের জমানো পানি দিয়ে ঐ পরিমাণ জমির জল সিঞ্চনের ব্যবস্থা করা। এর মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। আর সোলার সিস্টেমে পানি সেচের ব্যবস্থা করলে বিদ্যুতের সাশ্রয়ও হবে। আরো দৃঢ় হবে খাদ্য নিরাপত্তা।