বাংলাদেশে তথ্যের অভিগম্যতায় অনেক পিছিয়ে আছে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগণ, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে সেটার অভাব আরও প্রকট। সেজন্য নারীর উন্নয়ন সংক্রান্ত বহুবিধ তথ্য এক জায়গায় করা এবং সেগুলোর প্রাপ্তির পথ সহজ করা দরকার। আর ই-কমার্স প্রভূত প্রসারের এই সময়ে গ্রামীণ নারীদের জন্য ভার্চুয়াল মার্কেট প্লেস তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ। এটুআই সে লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছে এবং সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ‘প্রযুক্তি হতে জয়িতা’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
দেশের বেশ কয়েকজন সফল নারী আপন আলোয় উদ্ভাসিত হলেও দেশের নারীসমাজ এখনো তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সফল হননি। ঘরে-বাইরে নারীর অনেক কর্মকাণ্ড আজও সমাজে কাজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। তাদের কর্মদক্ষতার অবমূল্যায়ন, বিশেষ করে গ্রামীণ সমাজে, তাদের অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী জনগোষ্ঠী গ্রামে বাস করে। তারা অগ্রগতি সহায়ক প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা এবং যথাযথ সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত।
দুটি প্রধান দিকের উপর ভিত্তি করে এগোবে; তথ্য পোর্টাল এবং ভার্চুয়াল শপ। তথ্য পোর্টালে জয়ীতা ও কিশোরী ক্লাবের মতো নারীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, তাদের জন্য অর্থ উপার্জনকারী নানা উদ্যোগ এবং নারীদের জীবনযাত্রা সংক্রান্ত তথ্যের সন্নিবেশ ঘটানো হবে। এক্ষেত্রে তথ্যগুলো অনলাইন-অফলাইন দুইক্ষেত্রে থাকবে। অফলাইনের তথ্য সরকারের UISC-তে সংরক্ষিত থাকবে এবং মহিলা অধিদপ্তর ও ব্র্যাক মাঠ পর্যায়ে সেগুলো বিতরণ করবে। অন্যদিকে, প্রকল্পের দ্বিতীয় উদ্যোগ ভার্চুয়াল শপে ই-কমার্স সাইট তথ্য পোর্টালে নারী উন্নয়ন কার্যক্রম, নিরাপত্তা বিষয়ক এবং জীবিকা নির্বাহ বিষয়ক সকল প্রকার তথ্য পাওয়া যায়। ভার্চুয়াল শপে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাগণ হ্যান্ডিক্রাফটস, ডেইরি পণ্যসহ নানবিধ পণ্য অনলাইনে কম খরচে বাজারজাতকরণ এবং বিক্রয় করতে সক্ষম হচ্ছেন। দেশের ৭টি জেলার ৭টি উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদে প্রাথমিকভাবে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।