কৃষকদের ভার্মিম্পোস্ট বা কেঁেচাসারের উপকারীতা ও এর ব্যবহার সম্পর্কে যথেষ্ট প্রশিক্ষনের অভাব , রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা , উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অসহযোগীতা ও দূর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা এ সমস্যার মূল কারণ।
কৃষকদেরকে বাড়ির পাশের ফেলে রাখা বা পতিত জমিতে ভার্মিকম্পোস্ট সার উৎপাদন, জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে ভার্মিকম্পোস্ট সার ব্যবহার ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভার্মিকম্পোস্ট সার বাজারজাতকরণের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষন রোধ করা এবং সর্বপোরি মেট্রোপলিটন এলাকার ছাদে বাগানে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ভার্মিকম্পোস্ট সার ব্যবহারে কৃষকদেরকে উৎসাহিতকরনই এ সেবার মূল্ লক্ষ্য। এ জন্য প্রথমে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, এস এ পি পি ও ও কৃষি সম্প্রসারন অফিসারকে নিয়ে দল গঠন করা হবে, স্থান নির্বাচন করা ও ধান , সবজি ও ছাদে বাগান করে এমন চাষীদেরকে নিয়ে দল গঠন করা হবে। চাষীদেরকে ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচোসার কি, এর উপকারীতা, উৎপাদন পদ্ধতি ও ব্যবহার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন প্রদান করা হবে ও বাড়ির পাশের পতিত বা ফেলে রাখা জমিতে ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদনের জন্য বলা হবে। উৎপাদিত ভার্মিকম্পোস্ট চাষীর নিজ জমিতে সবজি, ধান ও ছাদে বাগানে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে এই সার ব্যবহারের জন্য বলা হবে।এবং উৎপাদিত অতিরিক্ত সার বাজারজাতকরণের মাধ্যমে চাষী অর্থনেতিকভাবে লাভবান হবে এবং চাষীর উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় কমে যাবে। চাষীর উৎপাদন খরচ কতটুকু কমলো এবং অতিরিক্ত সার বাজারজাতকরণের মাধ্যমে চাষী লাভবান হলো কিনা এ সম্পর্কে ফিডব্যাক নেওয়া হবে। আরও অধিক পরিমানে ও অধিক সংখ্যক চাষীকে ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন ও তা ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন প্রদান করা হবে।