সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তবুও দেশের দেশের অধিকাংশ গ্রামে ও দুর্গম এলাকায় বিদ্যুতের সেবা এখনো পৌঁছেনি। আবার অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছলেও সেটা নিরবিচ্ছিন্ন নয়। কেরোসিনের প্রচলিত হারিকেন কিংবা কুপির খরচ বেশি হওয়ায় সেটার ব্যবস্থা করা অনেকের পক্ষে কষ্টসাধ্য। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এ সমস্যা সমাধানে স্বল্পমূল্যের বিশেষ সোলার বাল্বের ব্যবস্থা করা হবে এই প্রকল্পে।
বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ খাতে অনেক উন্নতি করেছে, কিন্তু এখনও দেশের অধিকাংশ গ্রামে ও দুর্গম এলাকায় বিদ্যুতের সেবা পৌঁছেনি। আবার যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে সে সকল এলাকায় অনেক সময় নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। এর ফলে দৈনন্দিন কাজের জন্য অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন সেটা পরিবারের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সদস্যদের পড়াশোনায় ব্যঘাত ঘটে থাকে। বিশেষ করে হারিকেন বা কেরোসিনের কুপির আলোতে পড়াশোনা করলে একদিকে যেমন চোখের সমস্যা হয় এবং পরিবেশ বান্ধব নয়, তেমনি খরচও তুলনামুলকভাবে বেশি। অন্যদিকে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে দরিদ্র জনগণ বিদ্যুতের সুবিধা নিতে পারে না। ফলে অনেক ছাত্র-ছাত্রী তাদের সুবিধামতো পড়ালেখা করতে না পারায় গ্রামাঞ্চলে এবং যে সকল এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই তাদের পড়াশোনার মান কাংখিত পর্যায়ে পৌঁছায় না। যেহেতু বর্ণিত সমস্যাগুলো হতে উত্তরণের জন্য বর্তমানে তেমন কোন সহজলভ্য এবং স্বল্প মুল্যের সেবা নাই তাই দেশের জনগণ বর্ণনাতীত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
যদি এমন কোন উপায় বের করা যায় যার মাধ্যমে উপরোক্ত সমস্যাসমুহের সমাধান পাওয়া যায়, তাহলে দেশের সকল ছাত্র-ছাত্রী উপকৃত হবে। এই সোলার বাল্বের মাধ্যমেই উপরোক্ত সমস্যার সমাধানসহ আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে, সমাধান সমুহ নিম্নরুপ- বাল্বটি অনেক low-power-এ জ্বলবে এবং অনেক বেশি আলো দিবে খরচ তুলনামুলক অনেক কম। সরাসরি বাল্বেই চার্জ হবে মোবাইল চার্জার দিয়েও চার্জ হবে Low cost সোলার প্যানেল (বহনযোগ্য) থাকবে। Super capacity type ব্যাটারি থাকবে অনেক অল্প মূল্যে অনেক বেশি আলো পাওয়া যাবে। দাম কম হওয়ায় দরিদ্র মানুষেরাও এটা ব্যবহার করতে পারবেন।