বাংলাদেশে প্রতিবছর বিদেশে প্রচুর পরিমাণ শ্রমশক্তি রপ্তানি করে থাকে। প্রবাসী শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামে অর্জিত টাকায় ২৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কিন্তু এই শ্রমিকরা তাদের নিয়োগকারী দেশের ভাষা না জানার কারণে কম মজুরি পান এবং সেখানে গিয়ে নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয় তাদের। এই প্রকল্পের আওতায় বিদেশিগামী যাত্রীদের জন্য আরবী, মালয় ও কোরিয়ান ভাষা প্রশিক্ষণের অনলাইন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। দেশের বেশির কর্মী মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কারণে ওই তিনভাষা প্রায় ৮০শতাংশ বিদেশগামীকে কাভার করবে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর বিদেশে প্রচুর পরিমাণ শ্রমশক্তি রপ্তানি করে থাকে। যাদের বেশির ভাগ যায় মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায়। বিদেশগামী কর্মীদের যদি গন্তব্য দেশের ভাষা বলা ও শোনার প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় তাহলে সেটা হবে সর্বোৎকৃষ্ট কাজ। কর্মীরা যদি সেদেশের ভাষায় কথোকথন চালাতে পারে তাহলে তারা জীবনযাত্রার মানউন্নয়নের সঙ্গে অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
এই প্রকল্পের আওতায় বিদেশগামী যাত্রীদেরকে প্রধানত আরবী, মালয় ও কোরিয়ান ভাষা শোনা ও বলার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে বিদেশগামীদের প্রায় ৮০শতাংশের ভাষা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই প্রশিক্ষণটা দেওয়া হবে ওয়েবসাইট কিংবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে। এর ফলে শ্রমিকদেরকে ব্যয়বহুল ভাষা প্রশিক্ষণ কোর্স করতে ঢাকায় আসতে হবে না। ওই তিন ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ডিজাইন এবং উপকরণ তৈরি করা হবে। ন্যুনতম ফি দিয়ে এই প্রশিক্ষণ পাওয়া যাবে, যেটা এই প্রকল্পের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে।