মধ্যম আয়ের বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষই নিজেদের চিকিৎসার খরচ নিজেরা জোগাতে অক্ষম। অতঃপর তারা সামাজিক সাহায্যের আবেদন করেন। আর এই কাজে সহায়তা করে থাকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা। এই সাহার্যপ্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইদানিংক কিছু মিথ্যে ঘটনাও সামনে আনা হচ্ছে। অসহায়ত্বের মিথ্যা ঘটনা বর্ণনা করে সাহায্য নেয়া মানুষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কাজটি ফেসবুক অথবা টুইটারের মাধ্যমে ঘটানো হয়। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করতে একটি অনলাইন 'নির্বিঘ্ন চ্যারিটেবল এইড সার্ভিস (UCAS)’ তৈরি করছে অলিভিন লিমিটেড। যেটা সাহার্যপ্রার্থীর সঠিক তথ্য নিয়ে অনুদান যথাযথ প্রাপকের কাছে যাওয়া নিশ্চিত করবে এবং দাতাদের জানাবে যে তাদের টাকা নষ্ট হয় নাই।
দ্বিধা বা সন্দেহজনকভাবে জালিয়াত তহবিল অন্বেষীদের কারণে “প্রয়োজনে মানুষের জন্য সম্ভাব্য দান” করার ব্যবস্থা এখন মোটেই সুবিধাজনক নয় । একটি শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত, পেনশনের টাকায় জীবন চালানো একজন বয়স্ক নাগরিক, যার হৃদরোগের অপারেশনের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন; প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘর হারানো একটা পরিবার- এমন অসহায়কে ব্যক্তি বাংলাদেশে নিত্য পাওয়া যায়। যেহেতু বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশ, তাই এর অধিকাংশ মানুষই অক্ষম নিজেদের চিকিৎসার খরচ নিজেরা জোগাতে। অতঃপর তারা সামাজিক সাহায্য আবেদন করে। আর এই কাজটি করে থাকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কিছু মিথ্যে ঘটনাও সামনে আনা হয় যেগুলো কোন সময় ঘটেই নি। অসহায়ত্বের মিথ্যা ঘটনা বর্ণনা দিয়ে সাহায্য নেয়া মানুষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইহা সচরাচর হয়ে থাকে যে তারা বিভিন্ন রাস্তায় এবং শপিংমলে বাক্স হাতে দাঁড়িয়ে আছে এবং সাহায্য প্রার্থনা করছে অন্য কারোর চিকিৎসার জন্য। ইদানিংকালে, এই কাজটি ফেসবুক অথবা টুইটারের মাধ্যমে বেশি হয়ে থাকে। এখানে সমস্যাটা ভালো আর খারাপের পার্থক্য করা। একজন ভালো মানুষ হয়তো সাহায্য করতে চায়, কিন্তু জালিয়াতির ভয়ে পিছিয়ে যায়। অনেক সময় সঠিক সাহায্যের অভাবে জীবনের কঠিন সত্যকে মেনে নিয়ে চিকিৎসার অভাবে অনেক জীবন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। যদিও অনেক মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে চায় কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার ভয়ে পিছিয়ে যায়।
এমন সমস্যার সমধানে সেখানে কোন সংস্থা বা একটি প্ল্যাটফর্ম থাকতে পারে যা আমাদের সাহায্য করতে পারে সেইসব কেলেঙ্কারি ও সত্যিকারের অনুদান প্রার্থীর মধ্যে। অলিভিন লিমিটেডের লক্ষ্য হলো একটি অনলাইন 'নির্বিঘ্ন চ্যারিটেবল এইড সার্ভিস (UCAS) তৈরি করা, যেটা অনুদান যথাযথ প্রাপকের কাছে যাওয়া নিশ্চিত করবে এবং দাতাদের জানাবে যে তাদের টাকা নষ্ট হয় নাই। দান প্রার্থীদের অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যেমন রোগ ইতিহাস ও রোগীর পটভূমি, রোগী ও নিকট আত্মীয়ের (অর্থাৎ ভাইবোন/বাবা) তথ্য। যিনি দান প্রার্থীতায় অংশ নিবেন তার জাতীয় পরিচয় পত্র, তারপর রোগীর হাসপাতালের নাম সংগ্রহ করাও এক্ষেত্রে আবশ্যক। যে জবাবে, UCAS সিস্টেম একজন অনুমোদিত প্রতিনিধিকে স্বাস্থ্য অফিসে রোগীর বিবরণ পাঠাতে হবে (অর্থাৎ সিভিল সার্জন বা ডাক্তার) এবং অনুমোদনের জন্য ডিজি অফিসে পাঠাতে হবে। সেখানে একজন পর্যবেক্ষক থাকবেন যিনি স্বশরীরে ডিজি স্বাস্থ্য অফিসে প্রদত্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ করবেন। সিভিল সার্জনের কাছে প্রোগ্রাম বা ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস থাকবে, যার মাধ্যমে UCAS থেকে যাচাইয়ের অনুরোধ পাঠানো হবে এবং সিস্টেম একবার যাচাইয়ের জন্য একটি অনন্য রেফারেন্স নম্বর সাহায্য প্রার্থীর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ফলে দাতারা খুব সহজেই UCAS ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশান ব্যাবহার করতে পারবে এবং যে অনন্য রেফারেন্স নম্বর (যা তারা দান আপিল দেখা যেত) বিষয়টির সত্যতা চেক করতে ক্লিক করে কোনো দ্বিধা ছাড়াই অর্থ দান করতে পারবেন। ধারণা এবং প্রক্রিয়া এখানে সহজ, কিন্তু এর প্রভাব মানুষের জীবনে অপরিসীম।