প্রকল্প সমূহ

অসহায়দেরকে সহায়তা প্রদানের নিরঙ্কুশ পন্থা
ফুড এট হোম

ডিজিটাল ট্রান্সফরমার পর্যবেক্ষণ এবং কন্ট্রোল সিস্টেম


জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ডিপিডিসি এবং ডেসকো’র আনুমানিক ৮ লক্ষ ট্রান্সফরমার রয়েছে। ওভারলোডিং, চুরি, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রতি মাসে কম-বেশী ২,০০০-২,৫০০ ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করতে হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে প্রতিস্থাপন পর্যন্ত ব্যাপক সময় লাগার ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। আবার লোকবলের অভাবে সেটা প্রতিস্থাপনে ৪৮ ঘন্টা থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। এ অবস্থার পরিবর্তনে ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমার পর্যবেক্ষণ এবং কন্ট্রোল সিস্টেম’ গড়ে তোলা হবে এই প্রকল্পে। যাতে সরকারি ব্যয় কমার সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং জনগণের সমস্যার দ্রুত প্রতিকার হবে।

চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

ট্রান্সফরমারগুলি বিনা মূল্যে প্রতিস্থাপন করা হয়ে থাকে। এর ফলে সরকারের স্থাবর সম্পত্তির অপচয় হয়, এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে প্রতিস্থাপন পর্যন্ত ব্যাপক সময় লাগার ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। পল্লী বিদ্যুতের মত সংস্থায় কম লোকবলের কারণে গ্রামাঞ্চলে পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমারগুলি প্রতিস্থাপন করতে কখনো ৪৮ ঘন্টা থেকে ১ মাস সময় লাগে। বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলির কাছে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা না থাকার ফলে প্রতি মুহুর্তের বিদ্যুৎ ব্যবহারের তথ্য নেই। এ কারণে পুরো প্রক্রিয়া মানুষের দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভরশীল।

সানটেক কর্পোরেশনের প্রযুক্তি DTMCS (Digital Transformer Monitoring & Control System) সরকারি ট্রান্সফরমার ব্যবস্থাপনায় কাজে লাগানো হবে। GSM ভিত্তিক এ প্রযুক্তি ‘ওভারলোড নির্ধারণ ⇒ বর্তমান ভল্টেজ ⇒ উচ্চ তাপমাত্রায় স্বয়ংসক্রিয় ভাবে বন্ধ হওয়া ⇒ বর্তমান কারেন্ট ⇒ ফিউজ পুড়ে গেলে জানানোর ব্যবস্থা ⇒ দূর নিয়ন্ত্রিত বন্ধের ব্যবস্থাপনা ⇒ বর্তমান লোডের অবস্থা ⇒ চুরি রোধকরন ⇒ লোড শেডিং ব্যবস্থাপনা’ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটি ওভার লোড বুঝতে পেরে ট্রান্সফরমারটিকে পুড়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে, ফলে ট্রান্সফরমার দীর্ঘায়ু হয়। এটা বিনষ্ট হওয়া রোধ করে এবং দ্রুত প্রতিস্থাপনে সহায়ক। ট্রান্সফরমার ওভারলোড পর্যবেক্ষণ এবং দূর নিয়ন্ত্রিত বন্ধের ব্যবস্থাপনা (সাময়িক/প্রোগ্রামেবল) এতে থাকবে। যাতে কম কর্ম সময় এবং দক্ষ জনবল ব্যবহার হবে। তুলনা মূলক উত্তম ত্রুটি নির্ণয় ব্যবস্থা এবং সমস্যার বিশ্লেষণ সহায়ক এটা। ক্ষুদ্র গোষ্ঠী পর্যায় পর্যন্ত লোড শেডিংয়ের ব্যবস্থাকরণ। দ্রুত সাড়া দেওয়া ও পুনর্বাসন সময় কম হওয়ায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, ট্রান্সফরমার চুরি পর্যবেক্ষণ ও নিরোধের ব্যবস্থা এবং এটার দক্ষতার ফলে সরকারী সম্পদ দীর্ঘস্থায়ী হবে। উন্নত সেবা ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতায়নের হওয়া এর মাধ্যমে শিল্প এলাকায় অপেক্ষাকৃত কম বিদ্যুৎ বিভ্রাট হবে। সর্বোচ্চ সময় পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করণের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হবে। কেবল জনগণের তথ্যের উপর আর নির্ভর করতে হবে না।