প্রকল্প সমূহ

Legal Friend
সবজান্তা!

Women Home


চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

<p><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;">*কর্মজীবি নারী এবং ছাত্রীদের আবাসন সঙ্কট সমাধান* নিরাপদ আবাসন সঙ্কট কর্মজীবি নারী এবং ছাত্রীদের প্রধান সমস্যা। ঢাকাতে রয়েছে মাত্র তিনটি সরকারি মহিলা হোস্টেল। আসন সংখ্যাও খুবই সীমিত। তাদের জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন হোস্টেলই ভরসা। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন হোস্টেলগুলো কোথায় কোথায় আছে এবং সেগুলো নিরাপদ কিনা তাও খুজে বের করা আরো একটি বড় সমস্যা। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি চোখে পড়ার মত। সেই সঙ্গে আবার বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে কর্মক্ষেত্র থেকে নারীর একাংশ ঝরে পড়তে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবন্ধকতার বড় একটি কারণ নারীর আবাসন সঙ্কট। লেবার ফোর্স সার্ভেতে বলা হয়েছে, ‘২০০২-০৩ শ্রমবাজারে নারীদের উপস্থিতি যেখানে ছিল ১০.৩%, ২০১০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭.২%। দিনে দিনে এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ’ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) হিসাব মতে, ’রাজধানীতে প্রায় দেড় লাখ ছাত্রী রয়েছে, যারা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। তাদের অধিকাংশই ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে।‘ এদের কিছু হলে সিট পেলেও বাকিরা ব্যক্তি মালিকানাধীন হোস্টেলগুলোতে থাকে। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন হোস্টেল খুঁজতেও তাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে হোস্টেল খুঁজে। এতে তাদের সময়, শ্রম, অর্থ- সব কিছুই নষ্ট হয়। পুরুষ ব্যাচেলরদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক সহজে বাসা পেয়ে গেলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা বেশি থাকে।</span><br></p><div><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;"><br></span></div>

<p><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;">উপরোক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য আমার এই উইমেন হোম উদ্যোগ। প্রথমে, আমি একটি মোবাইল অ্যাপস এবং একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই, যেখানে শুধু মেয়েরা তাদের আবাসন সঙ্কট সমাধানে কাজে লাগাতে পারবে। যেমন আমাদের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসটির মাধ্যমে কোন এলাকায় কর্মজীবি নারী এবং ছাত্রীদের জন্য বাসা খালি হবে, তার ভাড়া, বাসার ভেতরের ছবি, এবং বাসা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ও ফিচার জানা যাবে। কর্মজীবি নারীরা অফিসে এবং অফিসের বাইরে যে কোনো স্থান থেকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে তাদের কর্মস্থলের আশেপাশের এলাকায় বাসা খুজতে পারবে। মেয়েরা কোনো বিপদে পড়লে জরুরিভিত্তিতে স্থানীয় থানা এবং অভিভাবককে জানাতে পারবে। প্রতি এলাকার জন্য একজন মেয়ে কর্মী থাকবে। যখন সরাসরি বাসা দেখার দরকার হবে, তখন এলাকাভিত্তিক কর্মী তাকে বাসা দেখানোর জন্য নিয়ে যাবে। এতে মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এজন্য যারা সাবলেট এবং হোস্টেল ভাড়া দিতে চায়, তাদেরকে প্রথমে অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এবং যারা ভাড়া নিতে চায়, তাদেরকেও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ দিক থেকে উভয়ের তথ্য থাকার ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায়ী ব্যক্তির তথ্য বের করা সহজ হবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে নারীর নিরাপদ সঙ্কট সমাধানে। আমাদের উইমেন হোম উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনাদের সহযোগিতা পেলে এ গুরুতর সমস্যার সমাধান করতে পারবো।</span><br></p><div><span style="color: rgb(88, 102, 110); text-align: justify;"><br></span></div>