কারাবন্দিদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়-স্বজনের যোগাযোগ স্বতঃসিদ্ধ প্রক্রিয়া। কিন্তু দীর্ঘপথ যাত্রা করে সেখানে দেখা করতে এসে দুইটি বেড়া পেরিয়ে চিৎকার করে কথা বলতে হয় প্রিয়জনদের। এই প্রকল্পে বন্দিদের পূর্বে ঘোষিত ২ জন নিকটাত্নীয় কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই তার বন্দি আত্মীয়-স্বজনের সাথে নির্ধারিত সময়ের জন্য কথা বলতে পারবেন। তাদেরকে আসা-যাওয়ার সেই প্রক্রিয়া ফোন এসএমএসের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে নিয়মিত ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩/৪ গুণ বেশি বন্দি অবস্থান করে। অনেক গরীব বন্দির গরীব আত্মীয়-স্বজনকে ব্যেবসা, চাকুরি কিংবা জীবিকার ক্ষতি করে যানজট পেরিয়ে এবং অর্থ খরচ করে স্বশরীরে ভ্রমণ করে দেখা করতে হয়। অসুস্থ, অতিবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও অবহেলিত জনগণের পক্ষে এই বাধাগুলো অতিক্রম করে সাক্ষাতে আসা কষ্টসাধ্য্ হয়ে যায়। বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে সংকীর্ণ সাক্ষাত কক্ষে ধারণ ক্ষমতার বহু গুণ বেশি বন্দি একসাথে গাদাগাদি করে দেখা করতে গিয়ে প্রচন্ড কোলাহলের মধ্যো সাক্ষাতের মূল উদ্দেশ্য ই ব্যা হত হয়। সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ব্যা পার ঘটে বিদেশী বন্দিদের ক্ষেত্রে। তাদের আত্নীয়-স্বজন সাক্ষাতে আসার কোন সুযোগ ও সাধারণত থাকে না।
বন্দিদের পূর্বে ঘোষিত ২ জন নিকটাত্নীয় কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেস তার বন্দি আত্মীয়-স্বজনের সাথে নির্ধারিত সময়ের জন্যী কথা বলতে পারবেন। এই কল এর খরচ কল গ্রহীতা তথা বন্দির আত্মীয়-স্বজনের মোবাইল ব্যা লান্স থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেয়া হবে (collect basis)। কথা বলার জন্য কারাগারে ফোন বুথ থাকবে, যা সাউন্ড প্রুফ হবে। যেকোন জরুরী বার্তা জানানোর প্রয়োজনে এসএমএস এর সুবিধা থাকবে। বন্দির আত্মীয়-স্বজন তাকে এস.এম.এস করতে পারবেন। আর বন্দি যৌক্তিক কারণে জরুরী কোন কথা বলার প্রয়োজন মনে করলে তার আত্মীয়ের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএস চলে যাবে প্রদত্ত নির্দিষ্ট সময়ে কল গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য ।