প্রকল্প সমূহ

ই-ফেয়ার ট্রেড
বার্ডস অফ প্যারাডাইস

ডায়ারোবো (ডায়াবেটিক সহকারী)


উপযুক্ত পরামর্শ এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনের মধ্যে আনতে পারলে ডায়াবেটিকের ভোগান্তি দমিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু ঠিকমতো ওষুধ নিতে ভুলে যাওয়া, ব্যায়াম না করা এবং ডাক্তারের পরামর্শের জন্য তথ্য সংরক্ষণ করায় তারা সেভাবে ফল পান না। সার্বক্ষণিক কেউ পাশে থেকে রোগীকে সহায়তা করাও দুরুহ। এই প্রকল্পের আওতায় ‘ডায়াবোরো’ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে রোগীর সমস্যার আলোকে সার্বক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার কাজ সম্পন্ন হবে।

চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

ডায়াবেটিক থেকে সুস্থতা সম্ভব না হলেও যথাযথ শিক্ষা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও সময়মতো ওষুধগ্রহণের মধ্য দিয়ে রোগী তার জীবনাচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। উপযুক্ত পরামর্শ এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনের অভাবে অধিকাংশ রোগী ডায়াবেটিক নিয়ে ভোগেন। ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে, সাধারণ সমস্যার মধ্যে রয়েছে ঠিকমতো ওষুধ নিতে ভুলে যাওয়া; অনেক সময় তারা জানেনও না ওষুধ বা ইনসুলিন না নিলে কী ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সময়মতো সঠিক খারাপ গ্রহণ ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে জরুরি। বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে তারা সঠিক খাবার বাছাই করতে এবং নিয়ন্ত্রিত উপায়ে নির্দিষ্ট খাবার গ্রহণে সক্ষম হন না। নিয়মিত ব্যয়াম করা ডায়াবেটিক রোগীর জন্য বাধ্যতামূলক হলেও তারা সেটা নিয়মিত করেন না। বিভিন্ন উপসর্গ চিহ্নিত করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া রোগীদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তারা রক্তে সুগার চেক করেন ঠিকই কিন্তু সেগুলো ডাক্তারকে দেখানোর জন্য রেকর্ড রাখেন না। সচেতনতার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য রোগীকে উদ্বুদ্ধকরণের দরকার হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনেও কাউকে সার্বক্ষণিক সঙ্গ দিয়ে উপদেশ দেওয়া এবং ক্ষতি সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় না।

ডায়ারোবো অ্যাপটি রোগীর মোবাইলে ইনস্টল করতে হবে। প্রথমত এতে খাদ্যের পছন্দ, খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের অভ্যাস ও প্রাধান্য, ওষুধ ও শিডিউল, সাধারণ উপসর্গ, ডাক্তারের উপদেশ, সুগারের মাত্রা, রোগীর প্রোফাইল এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডায়াবেটিক হিস্ট্রির তথ্য সংযুক্ত করতে হবে। এই পদ্ধতি একান্তভাবে রোগীর জন্য তৈরি হবে এবং সার্বক্ষণিক তার সঙ্গী হিসাবে থাকবে। এটা রোগীকে বার্তা ও উপদেশ দিয়ে চালিত করবে। সেটা হবে অডিও বার্তা, টেক্সট বার্তা, অ্যালার্ম ও সতর্কতার কল প্রভৃতির মাধ্যমে। রোগীর কাছ থেকে প্রতিদিনের ডাটা প্রতিক্রিয়া চাওয়া হবে। এক্ষেত্রে তথ্যের ফিড ব্যবহারকারী সহায়ক হবে, যেখানে “YES” কিংবা “No” অপশন বাছাই করে অথবা ছবি বাছাই কিংবা সংখ্যা দিয়ে সেটা পুরণ করা যাবে। এই প্রক্রিয়ায় রোগীর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও ডাক্তারের পরামর্শ সংক্রান্ত সব দিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।