তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত উন্নয়নের ফলশ্রুতিতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হওয়ায় সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং মেধাভিত্তিক কাজের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, এক্ষেত্রে প্রচলিত কপিরাইট পদ্ধতি সময় উপযোগী এবং টেকসই নয়। তথ্য অনুযায়ী গত তিন বছর ধরে বছরে গড়ে প্রায় ৫০০ কপিরাইট হয়েছে। কপিরাইট ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যাতে পুরো প্রক্রিয়াকে অনলাইনে আনা হবে।
১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বর্তমানে সৃজনশীল কর্মের কপিরাইট সার্টিফিকেটের জন্য একটি মাত্র কার্যালয়, সেটার অবস্থানও ঢাকাতে। প্রযুক্তির কোন ব্যবহার ছাড়া পুরো প্রক্রিয়অ হাতে-কলমে সম্পন্ন করা হয়। সাধারণত উক্ত কাজের সময়-সীমা ৩০ থেকে ৪৫ দিনের হয়, কখনও বেশী সময় লাগতে পারে, যদি আবেদনের কাগজপত্র নিয়ে কোন সমস্যা পাওয়া যায়। আমাদের দেশের অন্য শহর বা যে কোন প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত আবেদনকারীর জন্য তার সৃজনশীল কর্মের কপিরাইট করা খুবই অসুবিধাজনক। বাংলাদেশে কপিরাইট সার্টিফিকেটের আবেদনের হার অনেক কম, তথ্য অনুযায়ী গত তিন বছর ধরে বছরে গড়ে প্রায় ৫০০ কপিরাইট হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত উন্নয়নের ফলশ্রুতিতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হওয়ায় সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং মেধাভিত্তিক কাজের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, এক্ষেত্রে প্রচলিত কপিরাইট পদ্ধতি সময় উপযোগী এবং টেকসই নয়। যেহেতু সৃজনশীল কাজের কোন ডাটাবেস কপিরাইট অফিসে নেই, তাই সাহিত্য, গান, সঙ্গীত ইত্যাদি স্বত্ব সংক্রান্ত নকল খুঁজে বের করা একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত বাক্তির পক্ষে খুবই কষ্ট সাধ্য । এছাড়া, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ তাদের কর্মের কপিরাইটের গুরুত্ব সম্পর্কে অসচেতন এবং সীমিত প্রচারের কারনে কপিরাইট আইন এবং কপিরাইট প্রাপ্তির সুবিধা সম্পর্কে পরিচিত নন।
ইপসিতা কম্পিউটার্স প্রাইভেট লিমিটেড একটি স্বয়ংক্রিয় ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করবে যেখানে কপিরাইট করতে আগ্রহীরা তাদের মেধাভিত্তিক সম্পদের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে কপিরাইট অফিসে এসে আবেদন পত্র জমা দেয়ার প্রয়োজন নেই। যাবতীয় তথ্যাদি অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিলেই চলবে। কোন আবেদনকারী সঠিকভাবে আবেদন করার সাথে সাথে আবেদনটি কপিরাইট অফিসের সার্ভারে জমা হবে, যা ই-মেইলের মাধ্যমে এতদসংক্রান্ত কার্যনির্বাহীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানতে পারবেন। কপিরাইট অফিসের নিজস্ব কর্ম প্রক্রিয়া অনুযায়ী কপিরাইট সংক্রান্ত সমস্ত কার্যপদ্ধতি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলবে । এতদসংক্রান্ত সকল কার্যনির্বাহীরা ই-কপিরাইট সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের কাজের বিবরণ জানবেন এবং সে অনুযায়ী কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এখানে প্রতিটি কার্যনির্বাহীর নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকবে। তিনি তার কাজ সমাধা করে পরবর্তী পর্যায়ে তার নথি - এই সিস্টেমের মাধ্যমে প্রেরন করবেন। এখানে বাংলাদেশ সরকারের ই-ফাইলিং সিস্টেমকে একীভূত করা হবে। সকল কর্মপ্রক্রিয়া শেষে কপিরাইট অফিসের রেজিস্টার যখন আবেদনটি অনুমোদন করবেন, তখনি একটি স্বয়ংক্রিয় বার্তা আবেদনকারী পাবেন, যেখানে তার আবেদন অনুমোদন ও কপিরাইট সার্টিফিকেট বিতরণের সম্ভাব্য তারিখ দেয়া থাকবে। প্রয়োজনে ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট দেয়া যেতে পারে। এই ব্যবস্থায় যে সকল মেধা-সম্পদের ‘সফট কপি’ সংরক্ষণ করা যায় সে সকল সংরক্ষণের জন্য একটি আর্কাইভ থাকবে। এর মাধ্যমে অতি সহজেই নতুন আবেদনকারীর কর্মটি ইতিপূর্বে কেউ কপিরাইটের জন্য জমা দিয়েছেন কিনা তা জানা যাবে। এছাড়াও যেকোন মুহূর্তে যেকোন আবেদন ও কর্মের তথ্য, প্রয়োজন সাপেক্ষে পাওয়া যাবে।