পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে চারিত্রিক, বিবাহ ও জাতীয়তার মতো সনদ নেওয়ার প্রয়োজন হয়। গতানুতিক ব্যবস্থায় আইনি প্রক্রিয়ায় সবকিছু ঠিক থাকলে একটি সনদের জন্য কমপক্ষে দুইবার কাউন্সিলর অফিসে যেতে হয়। কাউন্সিলর কার্যালয়ের পরিসর ছোট হওয়া এবং কাউন্সিলরের অনুপস্থিতির কারণে অনেক সময় তাদের ভোগান্তির মাত্রা বাড়তে পারে। ঘরে বসে আবেদন করে মাত্র একদিন কাউন্সিলর অফিসে যাতায়াতের মাধ্যমে সনদ পাওয়ার পথ তৈরি করবে এই প্রকল্প।
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি নাগরিকের পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর অফিস থেকে চারিত্রিক, বিবাহ ও জাতীয়তার মতো সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রয়োজন হয়। গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় একটি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে, একজন নাগরিকের কাউন্সিলর কার্যালয়ে অন্তত দুইবার (একবার আবেদন এবং আরেকবার গ্রহণের জন্য) অথবা তার বেশি বার যেতে হয়। যখন কাউন্সিলর অন্যান্য কাজের চাপের কারণে তার অফিসে উপস্থিত থাকেন না, তখন সময় আরো বেশি লাগে। এর ফলে একজন নাগরিককে সনদপত্র গ্রহণে তার উৎপাদনশীল কর্মক্ষম সময় থেকে কিছু অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করা প্রয়োজন হয়। কিন্তু যথাসময়ে সার্টিফিকেটটি পেলে, এই সময় নাগরিকগণ দেশের উন্নতিতে অন্য কাজে বরাদ্দ করতে পারত। তাছাড়া, কাউন্সিলর অফিস খুব ছোট জায়গা নিয়েই হয় এবং এতে সর্বোচ্চ ১০-২০ মানুষ ধরানো যায়। অতএব এই ছোট অফিসে অপেক্ষার অভিজ্ঞতাও খুব সুখকর নয়। আরো উল্লেখ্য যে, সার্টিফিকেট ইস্যুর সময়, নাগরিকের তথ্য সঠিক যাচাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং মাঝে মাঝে সার্টিফিকেটের উপযুক্ত যোগ্যতা চেক ছাড়া সার্টিফিকেট দেয়া হয়। সর্বশেষে, দালাল চক্র দ্বারা হয়রানি একটি নিয়মিত ঘটনা, যা একটি ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবস্থা করা গেলে সহজে এড়ানো যেত ও আবেদন যাচাই এবং স্বয়ংক্রিয় সার্টিফিকেট মুদ্রণের জন্য অনেকাংশে সাহায্য করতো।
আমরা একটি অনলাইন কাউন্সিলর সার্টিফিকেটস সিস্টেম তৈরী করতে চাই, যা অনলাইনে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের কাউন্সিলর সনদপত্রের জন্য আবেদন ও গ্রহণ করতে সাহায্য করবে। আবেদনকারীর তথ্য, নিবন্ধিত তথ্য এবং সংযুক্ত জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ব্যবহার করে কাউন্সিলর অফিস থেকে যাচাই করা হবে এবং পরবর্তীকালে সার্টিফিকেট কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হবে। একটি প্রাথমিক ধারণা যেমন, নিবন্ধিত ব্যবহারকারী প্রয়োজনীয় তথ্য সহ (জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মিলেছে এমন) আবেদন করতে হবে। অনলাইন সিস্টেম থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়কাল (যেমন: ২৪ ঘন্টা) অপেক্ষা করতে ব্যবহারকারী অবহিত করা হবে। এরপর, সফটওয়্যারটি নথি বা নির্বাচন কমিশন ডাটাবেসের সঙ্গে ব্যবহারকারীর তথ্য (যেমন, পোস্ট কোড) ক্রস চেক করবে)। সকল তথ্য যাচাই করে, কাউন্সিলর অফিসের আইটি স্টাফ সার্টিফিকেট ইস্যু অথবা বাতিল করার জন্য সুপারিশ করবে। অবশেষে, সার্টিফিকেট ইস্যু অথবা বাতিল সংক্রান্ত নিশ্চিতকরণ ই-মেইল এবং এসএমএস আবেদনকারীকে পাঠানো হবে। সামগ্রিক প্রক্রিয়ারটির মাধ্যমে নাগরিকদের উৎপাদনশীল কাজের সময় অনেক সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সেখানে একজন আইটি দক্ষ কর্মী দ্বারা এই আবেদন যাচাই ও প্রক্রিয়াকরণ হবে, ফলে সেবা আরো সন্তোষজনক হবে।