আবেদন -এর পদ্ধতি
উদ্ভাবনের স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য চলমান কার্যক্রমে (সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড, সলভ-এ-থন, চ্যালেঞ্জ ফান্ড ইত্যাদি) যেভাবে আবেদন করবেন
১
রেজিস্ট্রেশন / একাউন্ট তৈরি
রেজিস্ট্রেশন - এর পাতাতে গিয়ে আপনার নাম, ইমেইল এবং মোবাইল নম্বর পূরণ করে খুব সহজে তৈরি করুন আপনার একাউন্ট
২
ইমেইল এবং মোবাইল নম্বর যাচাই
একাউন্ট তৈরির পর আপনার ইমেইল এ একটি ভেরিফিকেশন লিঙ্ক সহ ইমেইল এবং মোবাইলে চার সংখ্যার একটি ভেরিফিকেশন কোড এস.এম.এস আকারে যাবে;
ইমেইল এর লিঙ্ক এ ক্লিক করুন এবং মোবাইল ভেরিফিকেশন কোড ব্যবহার করে আপনার একাউন্ট সচল করুন
৩
প্রোফাইলের তথ্য পূরণ
আপনার একাউন্ট এ লগইন করুন এবং প্রোফাইলের ছবি, পেশা ও অভিজ্ঞতার তথ্য পূরণ করে সম্পূর্ণ করুন আপনার প্রোফাইল
৪
নতুন আইডিয়া সাবমিট
আইডিয়া সাবমিট লিঙ্ক এ ক্লিক করুন, যে কার্যক্রমের আওতায় আবেদন/আইডিয়া জমা দিতে চান সেটি নির্বাচন করুন এবং আপনার আইডিয়াটি লিখে সংরক্ষণ করুন
নিবন্ধিত ব্যবহারকারী, প্রস্তাবিত আইডিয়া, আইডিয়া হতে গৃহীত প্রকল্প এবং সফল ভাবে সম্পন্ন প্রকল্প - এর সংখ্যা
নিবন্ধিত ব্যবহারকারী
২২৭১০জন
প্রস্তাবিত আইডিয়া
১০৮৪২টি
চলমান প্রকল্প
১৫৩১টি
সফল ভাবে সম্পন্ন প্রকল্প
১৭টি
চলমান কার্যক্রম
উদ্ভাবনের স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য চলমান কার্যক্রম
প্রকল্প সমূহ - এর সংক্ষিপ্ত তালিকা
অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি স্থানান্তরের আইনসিদ্ধ প্রক্রিয়া বীমা পদ্ধতি; সেটা জীবনবীমা, স্বাস্থ্যবীমা কিংবা অগ্নীবীমা যাহাই হোক না কেন। কিন্তু কিছু অসৎ ও প্রতারকের কারণে বীমার দাবিদাররা বঞ্চিত হন অনেক সময়। সেই প্রতারণা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে এ টু আই-এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের ‘মোবাইল ফোনে জীবন বীমা কর্পোরেশনের সেবা প্রদান’ প্রকল্প।
জটিল ভূমি ব্যবস্থাপনায় মামলাজটে বিপত্তিতে থাকেন সাধারণ মানুষ আর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘসূত্রিতার সুযোগে সাধারণ মানুষের ব্যয় বাড়ার সঙ্গে দালালের দৌরাত্ম্যও সেখানে বেশি। এমন অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্ত হতে ‘এসএমএসে ভূমি অফিসের মামলা নিষ্পত্তির তথ্য’ দেওয়ার ব্যবস্থার করতে এই প্রকল্প।
ভূমি অধিগ্রহণ উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঢাকা জেলায় জমির এমন অধিগ্রহণ অন্যান্য সব জেলার থেকে সর্বোচ্চ। এ জেলায় দেশের মোট অধিগ্রহণকৃত ভূমির ৭০শতাংশের মতো। ঢাকা জেলার ভূমি অধিগ্রহণ বিভাগের জন্য একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ক্ষতিপূরণ প্রদানের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা এর মাধ্যমে করা হবে। যাতে ব্যয় ও সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণ অফিস জনগণ এবং মানুষের কাছে অধিগ্রহণ অফিস কর্মকর্তাদের যাতায়াত কমে আসবে।
সরকারি জমি কতটুকু আছে এবং কী অবস্থায় আছে তার একীভূত কোনো ডাটাবেস নাই। সে কারণে প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে অনেক জমি। আবার লিজ দেওয়া জমিরও কোনো হিসাব এক জায়গায় নেই। ভূমি কর্মকর্তারাও সেভাবে ওয়াকিফহাল হন সরকারি সব জমি সম্পর্কে। সে কারণে ঢাকার কেরানিগঞ্জ এলাকায় সরকারি জমির অনলাইন ডাটাবেস তৈরি ও তথ্য বিতরণ।
ভূমি কর নির্ধারণ ও আদায়ের প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ। সেই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির বড় রকমের সুযোগ আছে। সেটা বন্ধ করার জন্য অনলাইন ভূমি কর নির্ধারণ ও আদায় পদ্ধতি। এই ভূমি কর নির্ধারণের ব্যবস্থা দ্রুততম সময়ে সঠিক সেবা গ্রাহকদের নিকট পৌঁছানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ও সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি দুর্নীতি ও অপকর্ম কমানো সম্ভব হবে।
ছোট থেকে বড় সব ব্যবসায়িক কাজে ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে। আবার এটা সিটি কর্পোরেশন কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের রাজস্ব আয়ের অন্যতম বড় মাধ্যমে। কিন্তু সেক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মানুষ এটা থেকে দূরে থাকে। অন্যদিকে, তথ্য না থাকায় কার লাইসেন্স নবায়নের সময় হয়েছে তা বের করা সময়সাপেক্ষ। এই প্রকল্পে সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্সের ডিজিটাল রেকর্ড প্রস্তুত করার পাশাপাশি পেমেন্ট সিস্টেম অনলাইনে করা হবে।
সরকার প্রত্যেকটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এখনো সারা দেশে প্রায় ৯৩০০ টি স্কুল বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকেনা। এছাড়া বিদ্যুতবিহীন এলাকায় মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ইকো ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নামক প্রতিষ্ঠান এটুআই প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড এর মাধ্যমে ‘স্বল্প মূল্য ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ’ নামে একটি মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের জন্য একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করে। উদ্যোগটি বর্তমানে বান্দরবনের থানচি, কিশোরগঞ্জের ইটনা, খুলনার বটিয়াঘাটা ও পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া পাইলট আকারে চলছে। ক্রমান্বয়ে সারাদেশে এটা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
দেশের ৬৪টি জেলা প্রশাসনে শিশু খাদ্য, হার্ডওয়্যার, স্বর্ণ কারিগর ইত্যাদির ক্ষেত্রে ডিলিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। জেলা প্রশাসনের ‘ব্যবসা ও বাণিজ্য শাখা’ যেটার দেখভাল করে থাকে। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের এ লাইসেন্সের ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় করার এ টু আই-এর প্রকল্প ‘জেলা প্রশাসনের ডিলিং লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণ’। প্রথমে এর কার্যক্রম রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়কে কেন্দ্র করে এগোলেও একই ব্যবস্থাপনা সকল জেলায় কার্যকর করা সম্ভব হবে।
ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্যের অভাব মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ। যাতে পর্যটন স্পট নির্দিষ্ট করে আবাসন, পরিহন, রেস্টুরেন্ট এবং জরুরি যোগাযোগসহ বিভিন্ন তথ্যের সমাহার ঘটানো হবে।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার সময় “জয়” অ্যাপের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানায় এবং নির্দিষ্ট এফএনএফ নাম্বারে মোবাইলের জিপিএস ব্যবহার করে লোকেশন, অডিও-ভিডিও রেকর্ড ও ছবি প্রেরণ করা যাবে।